৬ আসনে উপনির্বাচন বুধবার

বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া ৬টি আসনের উপনির্বাচন আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা গতকাল সোমবার নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, জাতীয় সংসদের ছয়টি শূন্য আসনের উপনির্বাচন সুন্দরভাবে সম্পন্নের জন্য সব আয়োজন শেষ করা হয়েছে। এ জন্য দেড়গুণ ইভিএম সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া সবাই যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা প্রার্থীরা তাদের মতো করে গেছেন। সবাই যখন একসঙ্গে কাজ করে, সেখানে আশা করি ভালোই হবে ভোটের জন্য।

এর আগে সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদ থেকে ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের বিএনপি এমপিরা পদত্যাগ করায় এ ছয়টি আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।

এ ছয়টি আসনের তিনটিতে প্রার্থী দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জাসদ ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টি—এই দুই শরিক দলের জন্য দুটি ও একটি আসন উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে লড়ছেন জিয়াউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে মো. আব্দুল ওয়াদুদ ও বগুড়া-৬ আসনে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আসান রিপু। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁও-৩ আসনটি ওয়ার্কার্স পার্টি ও বগুড়া-৪ আসন জাসদ ইনুর জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে দলীয় কোনো প্রার্থী না দিয়ে তা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এ আসনে বিএনপির পদত্যাগী এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ফের প্রার্থী হওয়ায় এরই মধ্যে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আমাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের আব্দুল ওদুদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন। এতে নির্বাচন ও
নির্বাচন-উত্তর সহিংসতার আশঙ্কা বিরাজ করছে। রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন, অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন সংবাদ সম্মেলন করে তার ১৫টি অফিস ভাংচুর ও তিনটিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল ওদুদও অভিযোগ করেন, গত তিন দিনে তার সাতটি অফিস ভাংচুর করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটনের লোকজন। এ প্রসঙ্গে রিটার্নিং অফিসার একেএম গালিভ খান জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে ভয়ভীতি ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। দুই আওয়ামী লীগ নেতা হলেন, গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ন রেজা ও গোমস্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দীন মণ্ডল।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন জানান, দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, তারা জবাবও দিয়েছেন। নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ৬ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনে প্রার্থী ৩ জন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।

Share this news on: