বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। এরপরেই তিনি নির্বাচনের ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ তোলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তাকে স্যার ডাকতে হবে এ জন্য শিক্ষিত কর্মকর্তাতা ফলাফল পাল্টে দিয়েছেন। যা তার ভোটার, কর্মী-সমর্থকেরা মানতে পারছেন না।
এবার তিনি ভোটারদের সান্ত্বনা দিতে নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছেন। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজ এলাকা বগুড়া সদরের এরুলিয়ায় প্রথম তিনি ভোটারদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর কাহালু উপজেলায় তার জনসংযোগ করার কথা।
এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, “প্রহসনের এ নির্বাচনের ফল পাল্টানো কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ভোটাররা। তারা নির্বাচন কমিশনের এ নাটকে ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত। অনেকেই কান্নাকাটি করছেন। তাদের সান্ত্বনা দিতেই আজ নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছি। দিনভর কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের সঙ্গে দেখা করে সান্ত্বনা দেব।”
হিরো আলমের ফল পাল্টানোর অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে খোঁজ নিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বৃহস্পতিবার সিইসি টেলিফোনে রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বগুড়া-৪ আসনে উপনির্বাচনে ১০ কেন্দ্রে ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নজরে আসার পর সিইসি ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ পাওয়ার পর নন্দীগ্রাম উপজেলার সব কটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে প্রাপ্ত ফলাফল পুনর্যাচাই করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলের সঙ্গে ইভিএম মেশিনে পড়া ভোটের হিসাব শতভাগ নির্ভুল আছে। কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল নির্বাচন কমিশনেও পাঠানো হয়েছে।”