আইনজীবী ছাড়াই সৌদির নারী অধিকার কর্মীর বিচার

গতবছর সৌদি আরবে গ্রেপ্তার হন লুজাইন আল-হাথলুলসহ বেশ কয়েকজন নারী অধিকার কর্মী৷ বুধবার তার মামলা আদালতে উঠলেও তিনি কোনো আইনজীবী পাননি৷ গত ১০ মাস ধরে তিনি কারাগারে বন্দি আছেন।

জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লুজাইন আল-হাথলুল প্রথম খবরে উঠে আসেন ২০১৪ সালে৷ গাড়ি চালিয়ে সৌদি আরব থেকে আরব আামিরাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি৷ সেই সময়  সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানো বিষয়ে ছিল কড়া নিষেধাজ্ঞা৷

এরপর ২০১৮ সালের মে মাসে গ্রেপ্তার হন তিনি৷ লুজাইন আল-হাথলুলসহ গ্রেপ্তার হওয়া আরো কয়েকজন নারী অধিকার কর্মী এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে আসছিলেন বেশ অনেক দিন ধরেই৷

এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে গ্রেপ্তার হন তারা৷

যৌন হেনস্থা, অবিচারের শিকার

আল-হাথলুলের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, গ্রেপ্তারের পর তাকে মারধর করা হয়েছে৷ তার সঙ্গে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে বলেও মনে করেন তারা৷

শুধু তাই নয়, হাথলুলের বিষয়টি আদালতে উঠেছে৷ বুধবার শুরু হয়েছে বিচারের কাজ৷ কিন্তু অভিযুক্তের অধিকারের যে নিয়ম, তা অমান্য করে আল-হাথলুল'কে কোনো আইনজীবী দেয়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ৷ পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে, সেটাও তাকে জানানো হয়নি বলে জানিয়েছে আল-হাথলুলের পরিবার৷

মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মঙ্গলবার এক টুইটে এই বিচারের বিরোধিতা করে আল-হাথলুলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে৷

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক নতুন আইন প্রণয়ন করেন৷ নারীদের গাড়ি চালাতে পারার আইনটিও ছিল তার অন্যতম৷ কিন্তু সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ড ও একের পর এক অ্যাক্টিভিস্ট গ্রেপ্তার হওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সালমান৷

 

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: