দুদক কমিশনারের রাষ্ট্রপতি হতে আইনি বাধা নেই, বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান সিইসির

হাইকোর্টের রায় ও সংবিধান অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনারের রাষ্ট্রপতি হতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বলেন, এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো অনাকাঙ্ক্ষিত।

বুধবার ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সিইসি একথা বলেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়াতেও আহ্বান জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

দুদক আইন অনুযায়ী, দুদক কমিশনাররা রাষ্ট্রের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ পেতে পারেন না। তবে দুদকের সাবেক সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত করার পর রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক পদ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমন প্রশ্নের মধ্যেই এ বিষয়ে সিইসির বক্তব্য এল।

সোমবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিনকে একমাত্র মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন এ নির্বাচনের নির্বাচনী কর্তা ও সিইসি। এরপর মঙ্গলবার মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে নিয়ম অনুযায়ী তার নাম ঠিকানাসহ প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

এর আগে রবিবার সিইসির কাছে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেদিনই ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যেহেতু একজনের মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে, তাই সোমবার যাচাইবাছাই শেষে সব ঠিকঠাক থাকলে মো. সাহাবুদ্দিনই হবেন দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হচ্ছে। আগের মেয়াদেও তিনিই রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল বঙ্গভবনের দরবার হলে একবিংশতম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি শপথ নেন।

নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। দুদকের সাবেক এ কমিশনার মো. আবদুল হামিদের উত্তরসূরি হিসেবে বঙ্গভবনে যাচ্ছেন।

Share this news on: