রাজধানীর ধানমন্ডির সায়েন্স ল্যাব এলাকায় তিনতলা ভবনের আংশিক ধসে পড়ার পর ভবনের অবস্থা এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই মুহূর্তে ভবনটিতে কাউকে প্রবেশ না করতে সতর্ক করছে পুলিশ।
রবিবার সকালে প্রিয়াঙ্গণ শপিং মলের পাশে ওই ভবনে বিস্ফোরণের পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ডিএমপির ঊধ্বর্তন এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভবনটির অবস্থা এখন পর্যন্ত খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনটির তিনতলায় ছোট ছোট অফিস ছিল। একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অফিস ছিল।’
‘যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এই মুহূর্তে ভবনটিতে কারও প্রবেশ করা উচিত হবে না বলে আমরা মনে করছি। আমরা ঝুঁকি নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছি, পরিদর্শন করেছি।’
কেন বা কিসের বিস্ফোরণ সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে না পারলেও চারটি কারণ থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণার কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ।
বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চারটি কারণে এখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। শর্টসার্কিট, জমে থাকা গ্যাস, গ্যাস সিলিন্ডার ও এসির কারণে বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে সঠিক কারণটি তদন্ত শেষে বলা যাবে।’
হতাহতের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘আমরা শুনেছি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পপুলার হাসপাতাল মিলে ১২ থেকে ১৩ জন আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪-৫ জনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়া তিন জন মারা গেছেন।’এর আগে সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে ভবনটিতে বিস্ফোরণ ও আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার কাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট। তবে কী কারণে বিস্ফোরণ এখনো জানা যায়নি।