দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। তবে আবেদনটি এখনও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের হাতে যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছালে সেটিতে তাকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিতে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
‘আবেদনে শর্ত সাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সরকারের কোনো চিন্তা আছে কিনা’ এমন প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমার কাছে এখনো আবেদনটি আসে নাই, আবেদন আসলে পরে আমি সেটি নিষ্পত্তি করব।’
‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আপনার কাছে আবেদনটি পাঠোনো হয়েছে বলে জানা গেছে’ এমন কথা বললে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ধরনের মতামত ছাড়া আমাদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মতামত চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে আমার কাছে এখনো ফাইল আসে নাই। তাই আবেদনে কী আছে সেটি আমি বলতে পারব না।’
তবে তার কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন গেলে সেটি নিয়ে যে মসতামতই দেওয়া হোক সেটি সাংবাদিকদের জানাবেন বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সপ্তমবারের মতো গত মঙ্গলবার আবেদন করেছে তার পরিবার। আবেদনে খালেদা জিয়ার মুক্তির শর্ত শিথিল করে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এ আবেদন করেন।
আগামী ২৪ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।
খালেদা জিয়া দুটি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর কারাগারে ছিলেন। করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে দুটি শর্তে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এর প্রথমটি হচ্ছে খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে, দ্বিতীয়টি হলো তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এরপর ছয়বার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।