গত কয়েক দিন ধরে দেশে মুরগির বাজারে অস্থিরতা চলছে। ১৭০-১৮০ টাকার ব্রয়লার মুরগির কেজি এখন তিন শ ছুঁই ছুঁই। পাশাপাশি গরুর মাংসের দামও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে দাম কমাতে প্রয়োজনে গরু ও মুরগির মাংস আমদানি উন্মুক্ত করার কথা বলেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এফবিসিসিআইয়ের বোর্ডরুমে রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, হঠাৎ কয়েক দিনে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা আজ এ নিয়ে মুরগি ব্যবসায়ীদের ডেকেছিলাম, তারা আসেননি। এর আগে, যখন দাম বাড়িয়েছিল, তখন ধর-পাকড় শুরু হলে দাম কমে আসে। এখন রমজানকে সামনে রেখে আবার দাম বাড়ানো হলো কেন?
তিনি বলেন, এভাবে সমাধান আসবে না। দেশীয় এই খাত বাঁচাতে এতদিন মাংস আমদানি বন্ধ ছিল। এখন যদি তারা সঠিক মূল্যে গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগি দিতে না পারে, তাহলে আমদানি করতে হবে। প্রয়োজনে আমরা সরকারের কাছে বলব, দুই-তিন মাসের জন্য গরু ও মুরগির মাংস আমদানি উন্মুক্ত করে দিতে। এ ছাড়া আমরা কোনো উপায় দেখছি না।
তিনি বলেন, আমদানি করলে যদি বাজারে দাম কমে যায়, তাহলে আমদানি করতে হবে। মানুষ ন্যায্যমূল্যে পণ্য না পেলে ইন্ডাস্ট্রির কথা চিন্তা করে লাভ নেই।
এ সময় এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতিসহ রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।