সরকার ডলার সংকট কাটিয়ে উঠছে: তৌফিক-ই-ইলাহী

এক সময় ডলারের বাজার কিছু্টা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশ এখন ডলার সংকট কাটিয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ডিপিডিসির কনফারেন্স রুমে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) প্রকাশনা"এমপাওয়ারিং বাংলাদেশ" এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রকাশনায় বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সচিব আবুল কালাম আজাদ, ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ম তামিম, সিনিয়র সাংবাদিক মোল্লাহ আমজাদ হোসেনসহ অনেকের লেখা স্থান পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যুতের দাম হয় জ্বালানির উপর, জ্বালানি স্বল্প পরিমাণে উৎপাদন করি। জ্বালানির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভরশীল। দামটা স্থিতিশীল না হলে বলা সম্ভব না। আমি মনে করি যুদ্ধ বন্ধ হলে দাম কমানো সম্ভব না। দাম একবারে বেশি পরিমাণে বাড়লে শকড হতে পারে। তাই অল্প অল্প করে বাড়ানো হয়েছে।

হাইব্রিড কুকিং নিয়ে গবেষণা চলছে। ফলাফল ভালো খরচও কম, আমরা ১০ বছর পরে হাইব্রিড কুকিংয়ে যেতে পারি। সোলারের ইরিগেশনে যেতে পারি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তবুও আমরা ভাগ্যবান, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো আছি। সাউথ আফ্রিকা , বিটেনে ১০/১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে। আমাদের অর্জন নিয়ে গর্ববোধ করি। পাকিস্তান ডেটথ কান্ট্রি, শেম কান্ট্রি । সেখান থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল অর্ধেক। ৫২ বছর পরে আজকে পাকিস্তানের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি। আমাদের স্বাস্থ্য খাতের চেয়ে তারা ৫ বছর পিছিয়ে। আমি খয়ের খা হিসেবে নয়, তাত্ত্বিকভাবে এটা প্রমাণ করে দিতে পারি। বাংলাদেশের আর্থিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন হয়েছে।

গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধান প্রসঙ্গে বলেন, কনকো ফিলিপস চলে গেলো দামের ইস্যু তুলে। আমরা পসকো দাইয়ু ডেকে এনেছি। এখন এক্সন মবিল আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমার মনে হয় ওরা কৌশলগত কারণে আসতে চায়। এ বছরের মধ্যে কিছু একটা হতে পারে।

এখনই কয়লা উত্তোলনের কোন পরিকল্পনা নেই উল্লেখ করে বলেন, উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে হবে, কয়লা বসে আছে পানির উপরে। যে পানির স্তর বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। আরেকটি বিষয় রয়েছে উর্বর মাটি, এসব বিবেচনা করে দেখলাম।

কয়লার সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে, কয়লা এবং তেলের চেয়ে উর্বর জমি খুবই জরুরি। যে কারণে এখনই কয়লা উত্তোলনের চিন্তা করা হচ্ছে না।

বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেল'র মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসাইন বলেন, শীতে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক কমে যায়। তখন বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালিয়ে নেওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জের। যা আমাদের পরমাণু বিদ্যুতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ((ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমির আলী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক রিশান নাসরুল্লাহ।

Share this news on: