গত মঙ্গলবার আগুনে পুড়ে যায় শপিং কমপ্লেক্সটি। কাঠ-টিন-লোহার এই মার্কেটের ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করেছে সিটি করপোরেশন। এরপরই মার্কেটের ২১ হাজার ২৫০ বর্গফুট জমির ওপর চৌকি বসিয়ে দোকান খোলার আগ্রহ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা।
বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের সভাপতি জহিরুল ইসলাম দ্য বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, 'দোকান মালিক সমিতির নেতারা আগামী রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।'
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মোহাম্মদ রনি বলেন, '২৫ লাখ টাকার জামাকাপড় পুড়ে গেছে। সরকার যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে হয়তো আবার ব্যবসা শুরু করতে পারব।'
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, 'জায়গাটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। ব্যবসায়ীরা আইন ও বিধি-বিধান অনুসরণ করে সাময়িকভাবে তাদের ব্যবসা খুলতে পারবেন।'
তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের তালিকাভুক্ত ব্যবসায়ীদের ৩-৪ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
মালিক সমিতির সহায়তায় তালিকা করে ডিএসসিসি কমিটিকে আগামী রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ঢাকা তৈরি পোশাক শ্রমিক সমিতি ধ্বংসস্তূপ এলাকায় মানববন্ধন করে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানায়।
ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস সাংবাদিকদের বলেছেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা যাতে ব্যবসা পুনরায় শুরু করতে পারেন, সেজন্য সিটি করপোরেশন তাদের পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, 'আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে তাদের ব্যবসা পুনরায় চালু করা। পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করতে আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসব। আমরা ওই জায়গায় নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করব।'
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের সময় অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩ জনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
