জুন বা জুলাইতে দেশের সবচেয়ে প্রশস্ত সড়ক উদ্বোধন

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সড়ক পূর্ণাঙ্গভাবে খুলে দেয়া হবে জুনে। আবার জুনে সম্ভব না হলে জুলাইতে এর উদ্বোধন। রাজধানীর কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে নামে এই সড়কটি দেশের প্রথম ১৪ লেনের সড়ক। এ পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে প্রশস্ত সড়ক এটি। এর কাজ শেষ হয়েছে ৯৬ শতাংশ। চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। 

শুক্রবার (৫ মে) এক্সপ্রেস ১২ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, জুন জুলাই মাসে উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। প্রধানমন্ত্রী এই সড়ক উদ্বোধন করবেন।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৫ সালে প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৫ হাজার ২৮৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত ব্যয়সহ প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়ায় ১০ হাজার ৩২৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকায়। 

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক এহসান জামিল বাংলাদেশ টাইমসকে জানান, ৯৬ ভাগ কাজ শেষ। এখন চলছে ড্রেনের সিস্টেমের কাজ। এছাড়া ল্যাম্পপোস্টের কাজ গুলো শেষ হয়েছে। কেবল এখন বাতি জ্বালানো বাকি। জুন জুলাই মাসে পুরোপুরি কাজ শেষ আর তখনই উদ্বোধন। তবে প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে ডিসেম্বর পর্যন্ত। 

এছাড়া সড়কের ১২ কিলোমিটারে চূড়ান্ত ধাপের কার্পেটিং কাজ শুরু হয়েছে যা কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে- জানান প্রকল্প পরিচালক এহসান জামিল।

১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৪ লেনের এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে রাজধানীর প্রগতি সরণি ও বিমান বন্দর সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।


রাজউক সূত্রে জানা যায়, সাড়ে ১২ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে রাজধানীর কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে ১৪ লেন বিশিষ্ট। এরমধ্যে ৮ লেন সড়ক হবে এক্সপ্রেসওয়ে। বাকি ৬ লেন সড়ক হবে স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য সার্ভিস রোড।


বালু নদী থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক হবে ১২ লেনের। এর মধ্যে ৬ লেন সড়ক এক্সপ্রেসওয়ে। বাকি ৬ লেন হবে সার্ভিস রোড। এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৯৬ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৬৪ কোটি টাকা।

এছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের জন্য ১০টি বড় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুগুলোর নির্মাণ ব্যয় ৪৮৮ কোটি টাকা।

Share this news on: