রাশিয়ার সঙ্গে চলছে তীব্র লড়াই, ৭ গ্রাম ফের দখলের দাবি ইউক্রেনের

রাশিয়ার দখলে থাকা ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে ইউক্রেন। চলতি সপ্তাহে শুরু হওয়া এ হামলায় সফলতাও পাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এখন পর্যন্ত তারা রাশিয়ার দখলে থাকা সাতটি গ্রাম নিজেদের দখলে নিয়েছে।

সোমবার গভীর রাতে এক টেলিগ্রাম পোস্টে ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার এসব কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।

তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী মোকরি ইয়ালির প্রায় ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে লেভাদনে ও নভোদারিভকা এবং সেই সঙ্গে জাপোরিঝিয়া শহরের দক্ষিণ-পূর্বে লবকোভ গ্রাম পুনরায় দখল করেছে।

মালিয়ার বলেন, সেনারা ৬.৫ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে এবং ৯০ বর্গ কিলোমিটার (৩৫ বর্গমাইল) এলাকা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। পুনরুদ্ধার করা অঞ্চলটি ৪০ হাজার বর্গমাইলের একটি অংশ যা রাশিয়ার দখলে রয়েছে।

মালিয়ার আরও বলেছেন, পাল্টা হামলা শুরুর পর থেকে সাতটি এলাকা দখলে নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আরও বিশদ কোনো বিবরণ তিনি দেননি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিয়েভের দীর্ঘ প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনীয় সেনারা দেশটির দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ১০০-কিমি (৬০ মাইল) ফ্রন্ট বরাবর রুশ বাহিনীর কাছ থেকে সাতটি গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে বলে ইউক্রেন সোমবার জানিয়েছে।

সোমবার রাতে দেওয়া এক ভিডিও ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, বৃষ্টি ও প্রচণ্ড লড়াই সত্ত্বেও ইউক্রেনীয় বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করছে।

তিনি বলেন, ‘মারাত্মক যুদ্ধ হচ্ছে, কিন্তু এর পরও আমাদের বাহিনী এগিয়ে যাচ্ছে এবং সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শত্রুর ক্ষতিই আমাদের প্রয়োজন।’

এর আগে গত রোববার ইউক্রেন জানায়, তার বাহিনী দেশের দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে মোকরি ইয়ালি বরাবর তিনটি গ্রাম রাশিয়ার দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করেছে। ওই তিনটি গ্রাম হচ্ছে— ব্লাহোদাত্নে, নেসকুচনে ও মাকারিভকা।

তবে যুদ্ধক্ষেত্রের এসব দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে মস্কো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের কোনো সাফল্য স্বীকার করেনি। কিন্তু রাশিয়ান সামরিক ব্লগাররা বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রকৃতপক্ষে ব্লাহোদাত্নে, নেসকুচনে ও মাকারিভকাকে নিজেদের দখলে নিয়ে গেছে এবং রুশ বাহিনীকে আরও দক্ষিণ দিকে ঠেলে দিয়েছে।

সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কার্যত গত সপ্তাহের নিয়মিত দাবিরই পুনরাবৃত্তি করে। মন্ত্রণালয় জানায়, রুশ বাহিনী দোনেৎস্ক ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে ইউক্রেনের আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড ব্যর্থ করে দিয়েছে।

এ সময় আটটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে এবং পূর্ব ইউক্রেনের গোলাবারুদ ডিপোতে হামলা করা হয়েছে বলেও মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

Share this news on:

সর্বশেষ