আফগানদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল টাইগাররা

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতল টাইগাররা।

দেরাদুনে ২০১৮ সালে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ।

গত বছর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ এ ড্র করে দুই দল।

সিলেটে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টানা তৃতীয় সিরিজ জেতার নজির গড়ল বাংলাদেশ। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৭ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৬ রান তুলে আফগানরা। জবাবে খেলতে নেমে ৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় পেয়ে যায় টাইগাররা।

এর আগে ২০২১ সালে প্রথমবারে টি-টোয়েন্টিতে টানা তৃতীয়বার সিরিজ জেতার রেকর্ড গড়েছিলো টাইগাররা। সেবার জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আর এবার ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডকে হারানোর পর আফগানিস্তানকেও হারাল সাকিবরা।

বৃষ্টি আইনে ১১৯ রানের লক্ষ্য পেয়ে ব্যাট করতে নেমে দলকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও আফিফ হোসেন। মূলত তখনই জয়ের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটি আসে ৬৭ রান। ৩৬ বলে ৩৫ রান করে আউট হন লিটন। মুজিব উর রহমানের করা একই ওভারে ২৪ রান আউট হন আফিফ হোসেন।

দ্বিতীয় উইকেটে নেমে সুবিধা করতে পারেননি বাঁ-হাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬ বলে ৪ রান করেন শান্ত।

দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে খানিকটা ব্যাকফুটে পড়ে বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ উইকেটে দলনেতা সাকিব ও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তাওহীদ হৃদয়ের ভয়-ডরহীন ক্রিকেটের সুবিধা জয়ের দ্বারে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। তবে জয় নিয়ে ফিরতে পারেননি হৃদয়। আউট হন ১৯ রানে। এদিকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব-শামীম। ২০ রানে হৃদয় অপরাজিত থাকেন।

এর আগে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আফগানিস্তানের শুরুটা ভালো হতে দেননি টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফেরান তিনি। নিজের করা দ্বিতীয় ওভারে আরেক ওপেনার জাজাইকে আউট করেন তিনি। গুরবাজ ৮ ও জাজাই ৪ রান করেন।

এরপর বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য হয় ১৭ ওভার। বৃষ্টি শেষে খেলা শুরুরর দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ নবিকে কটবিহাইন্ড করান মোস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারে ইব্রাহিম জাদরান ফেরেন সাকিবের বলে। নবি ১৬ ও ইব্রাহিম ২২ রান করেন।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে চাপে পড়া দলের হাল ধরেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও করিম জানাত। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ৪২ রানের জুটি। তাতেই সম্মনজনক স্কোর পায় সফরকারীরা। ২১ বলে ২৫ রান করেন ওমরজাই। আর করিম জানাত ফেরেন ২০ রানে। রশিদ খান ৬ রানে ও মুজিব উর রহমান ১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৭ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১১৬ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।



Share this news on: