আইনজীবী হয়ে বাবার বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধার করলেন ছেলে

আইনি জটিলতায় জমির মালিকানা হারানোর ২৩ বছর পর নিজের ছেলের দক্ষতায় জমির মালিকানা ফিরে পেয়েছেন উগান্ডার এক ব্যক্তি।

১৮ বছর পড়ালেখা এবং আইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়ার পর একজন আইনজীবী হয়ে বাবার বেদখল হয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধার করেছেন উগান্ডার জর্ডান কিনইয়েরা।

সোমবার হাইকোর্টের দেয়া রায় তার পরিবারের পক্ষে যায়। খবর বিবিসি বাংলা।

কিনইয়েরা বলেন, তার বয়স যখন ছয় বছর, সেসময় তার পরিবার জমির মালিকানা হারায় এবং ওই ঘটনা তার জীবন চিরতরে বদলে দিয়েছিল।

‘আমি আইনজীবী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেই অনেক পরে, কিন্তু এই সিদ্ধান্তের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল আমার শৈশবে দেখা ঘটনাগুলো।’

কিনইয়েরা বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের আইনি কার্যক্রম চলার সময় আমার পরিবার যেই হতাশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল, তা আমাকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করে।’

১৯৯৬ সালে প্রতিবেশীরা কিনইয়েরার বাবার নামে আদালতে অভিযোগ করে এবং মামলাটি প্রায় দুই দশক যাবত আদালতে বিচারাধীন ছিল।

‘সেসময় আমার বাবা অবসরপ্রাপ্ত ছিলেন। কাজেই আর্থিকভাবে তিনি খুব একটা সচ্ছল ছিলেন না। ওই অবস্থা থেকে উদ্ধার পেতে তিনি মরিয়া ছিলেন।’

‘একজন মানুষ যখন মরিয়া থাকে এবং তার কিছু করার থাকে না, তখন ওই ব্যক্তির জন্য খুবই অমানবিক একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়, যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করেছে আইনজীবী হওয়ার পেছনে।’

কিনইয়েরা বলেন, ‘ন্যায়বিচার বিলম্বিত হওয়া মানেই ন্যায়বিচার বঞ্চিত হওয়া। আমার বাবার বর্তমান বয়স ৮২ এবং এই জমি দিয়ে তিনি কিছুই করতে পারবেন না। তিনি যেখানে শেষ করেছেন, সেখান থেকে শুরু করতে হবে তার সন্তানদের।’

জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনা উগান্ডায় ব্যাপক পরিমাণে ঘটে থাকে।

আইনি প্রচারণা সংস্থা নামাতির তথ্য অনুযায়ী, জমিরা মালিকদের ৩৩ থেকে ৫০ ভাগই এরকম দ্বন্দ্বের ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন।

অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত উগান্ডানদের অনেকে কয়েক বছর ক্যাম্পে থেকে ফিরে আসার পর আবিষ্কার করেন যে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়েছে।

কিনেইয়েরা বলেন, ‘এই সমস্যা এতই বিস্তৃত যে হাইকোর্টের একটি পূর্ণ শাখাই নিয়োজিত এই জাতীয় দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য।’

 

টাইমস/জেডটি

Share this news on:

সর্বশেষ