ববিপ্রবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মো. আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।

ওই শিক্ষক থিসিসের কথা বলে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভিকটিম দুই ছাত্রী বিভাগের শিক্ষকদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রীরা জানান, সিএসই বিভাগের শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রতি ব্যাচকে চতুর্থ বর্ষে থিসিস করতে হয়। সে অনুযায়ী সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আক্কাস আলী আমাদের সুপারভাইজার হন। তার তত্ত্বাবধানে আমরা তিন ছাত্রী মিলে একটি গ্রুপ গঠন করে কাজ শুরু করি। থিসিসের কথা বলে ওই শিক্ষক আমাদের নানাভাবে যৌন হয়রানি করেছেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে ফেল করিয়ে দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেন। এ অবস্থায় আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি।

এক ছাত্রী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, শিক্ষক আক্কাস আলী তাকে থিসিসে কাজ আছে বলে একা বিভাগে ডেকে নিয়ে যান। পরে সেখানে তিনি তার সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ শুরু করেন। এতে বাধা দিলে ওই শিক্ষক তাকে ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকি দেন। আর রাজি হলে থিসিসে নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলেন।

এ অবস্থায় তিনি কাঁদতে কাঁদতে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরে তিনি বিভাগের শিক্ষকদের কাছে এ বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। শিক্ষকদের পরামর্শে তিনি বিভাগীয় প্রধানের যৌন হয়রানির বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। অপর ছাত্রীও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করেন।

এক ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন, তার মেয়ের কাছ থেকে ওই শিক্ষকের যৌন হয়রানির বিষয়টি জানতে পেরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভিসির সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেন। তবে বারবার চেষ্টা করেও তিনি ভিসির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। উপরন্তু ভিসি তার অধীনস্থদের দিয়ে জানিয়ে দেন তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছেন।

তবে অভিযোগের এক মাস পেরিয়ে গেলেও যৌন নিপীড়ক শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এদিকে তার মেয়ে ওই ঘটনার পর থেকে ফলাফল নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি যৌন নিপীড়ক ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আক্কাস আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিভাগের এক শিক্ষক এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: