মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেন ওবায়দুল কাদের

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার বেলা ১টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়পত্র দেয়। তবে তিনি আপতত দেশে ফিরছেন না। কিছুদিন সেই দেশেই অবস্থান করবেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আরও কিছুদিন সিঙ্গাপুরে থাকবেন মন্ত্রী।

এর আগে শুক্রবার সকালে সিঙ্গাপুর থেকে দিনাজপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ওবায়দুল কাদেরের পাশে তিনি বসে আছেন। সেখানে সড়কমন্ত্রীকে অনেকটা আত্মবিশ্বাসী ও প্রাঞ্জল মনে হচ্ছে।

ছবির ক্যাপশনে হুইপ ইকবালুর রহিম লিখেছেন, `আজ সকালে মাউনট এলিজাবেথ হসপিটালে। আমাদের প্রিয় কাদের ভাই এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। আজ সকালে মাউনট এলিজাবেথ হসপিটালে।` ইকবালুর রহিম সেখানে তারিখ যুক্ত করে লিখেছেন, `০৫-০৪-১৯’

এরও আগে ২ এপ্রিল একটি ছবি প্রকাশ হয়েছিল। সেই ছবির ক্যাপশনে বলা হয়েছিল ওবায়দুল কাদের ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তার শরীরে লাগানো অ্যান্ডো ট্র্যাকিয়াল টিউব খুলে ফেলা হয়েছে, স্বাভাবিক চলাফেরা করছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

প্রসঙ্গত, ৩ মার্চ ভোররাতে ঢাকায় নিজ বাড়িতে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে। সেখানে দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়ে। এরমধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের (রিং পরানো) মাধ্যমে দ্রুত অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।

এদিকে, তাকে দেখতে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে ঢাকায় উড়ে আসেন ভারতের প্রখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠী। তারই পরামর্শে ও অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে ৪ মার্চ বিকালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সে রাতেই একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা শুরু করেন মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

পরবর্তীতে ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। সার্জারি করেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিনিয়র সদস্য কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি।

টাইমস/কেআরএস

Share this news on: