শেখ মুজিবের কন্যা বলেই পদ্মা সেতুর অর্জন সম্ভব হয়েছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্ব ব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করা শেখ মুজিবের কন্যা বলেই সম্ভব হয়েছে। আজ আমাদের যে অর্জন তা একমাত্র তার। বঙ্গবন্ধু কন্যার সাফল্য বলে শেষ করা যাবে না।

শুক্রবার বিকালে মাওয়ায় পদ্মা সেতু বহুমুখী প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংক আমাদের হতাশ করলো, অপবাদ দিয়ে চলে গেলো। জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা ঘোষণা দিলেন আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু করবো।’

কাদের আরও বলেন, ‘তখন আমাদের আশেপাশে দ্বিতীয় সারি, প্রথম সারির অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সবাই শোরগোল— নেত্রী ঘোষণা দিলেন, পাগল নাকি, আমাদের কি এত টাকা আছে আমরা করতে পারবো? আমি পাশে ছিলাম আমাকে উদ্দেশ্য করে কত কথাই না বলেছেন। আজ আমরা পদ্মা সেতু সমাপনী অনুষ্ঠান করছি।’

আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, ‘পদ্মার ঢেউ, তীব্র স্রোত, দিন যায়, রাত যায়, সকাল সকালে। কত মানুষের কষ্ট। মাতৃহারা সেই সন্তান জানে পদ্মা সেতু কী। স্রোতের টানে মায়ের আঁচল থেকে ভেসে গেল অবুজ শিশু। সেই সন্তান হারা মা জানে পদ্মা সেতু কী এবং কেন। বাবার জানাজায় অংশ নিতে পদ্মার পাড়ে এসে আকুল অপেক্ষায় থাকা সেই ছেলে জানে পদ্মা সেতু কী।’

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ায় শুক্রবার সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সেতু বিভাগ। পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে এ সমাপনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশের আয়োজন। একই মাঠে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও রেল সংযোগ প্রকল্পের অনুষ্ঠান হয়েছিল।

এর আগে বিকেল ৩টা থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন। সুধী সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য দুই থেকে আড়াই হাজার সুধীজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত রয়েছেন।

অনুষ্ঠান সূচি অনুযায়ী, শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন। এরপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সভাপতির বক্তব্য শুরু করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্য

এর আগে গত ৩ জুলাই পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে হাতে নেওয়া কার্যক্রমগুলোর ব্যয় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সেখান থেকে জানা যায়, এ অনুষ্ঠানের বাজেট পাঁচ কোটি টাকার ওপরে।

Share this news on: