অতি প্রবল হারিকেন (ঘূর্ণিঝড়) মিল্টন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পড়েছে। উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়ার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার ছিল। মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।
ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, হারিকেন মিল্টন ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে সারাসোটা কাউন্টির সিয়েস্তা কি এলাকায় ভূভাগে আছড়ে পড়েছে।
হারিকেন মিল্টনের আঘাতে ফ্লোরিডায় বড় ধরনের হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণটা শত বিলিয়ান মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। যদিও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে ওই রাজ্য ছেড়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
বিবিসির খবরে বলা হয়, হারিকেনের কারণে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ফ্লোরিডাজুড়ে ২০ লাখের বেশি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন রয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যানটিস জানান, দানবীয় এই হারিকেনের কবল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাঁচাতে নিরাপদ এলাকায় কয়েক ডজন আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সংকটময় পরিস্থিতিতে লুটপাট ঠেকাতে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ কথা (লুটপাট) চিন্তাও করবেন না। ঘরেই থাকুন। এমন কাজ করলে পরে অবশ্যই পস্তাতে হবে।’
মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগেই ভয়াবহ হারিকেন হেলেন দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রে তাণ্ডব চালিয়েছে। ২০০৫ সালে আঘাত হানা হারিকেন ক্যাটরিনার পর থেকে মার্কিন মূল ভূখণ্ডের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঝড় এটি। এতে অন্তত ২২৫ জন মানুষ নিহত হন। শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। শুধু ফ্লোরিডায় অন্তত ১৪ জন মারা গেছেন।
ওই হারিকেনের তাণ্ডবে প্রাণহানির পাশাপাশি বিগ বেন্ড ও আশপাশের এলাকার অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। একইসঙ্গে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শত শত রাস্তা ডুবে যায়।