সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান। পিটিআইয়ের ডাকা সমাবেশে যোগ দিতে সারাদেশ থেকে দলে দলে রাজধানী ইসলামাবাদ মানুষজন আসছেন। জনস্রোতের জোয়ারে ইসলামাবাদ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ ঠেকাতে পিটিআইয়ের পাঁচ এমপিসহ চার হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতকিছু করেও সমাবেশস্থল মুখী জনস্রোত ঠেকাতে পারছে না সরকার। অবশেষে সেনাবাহিনীর দ্বারস্থ হতে হলো তাদের।
জিও নিউজের খবর অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবিধানের ২৪৫ ধারা অনুযায়ী রাজধানী ইসলামাবাদে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে। বিক্ষোভকারী ও বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলি চালানোর মতো চরম পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনে যেকোনো এলাকায় কারফিউ জারি করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
এদিকে বাধা উপেক্ষা করে সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে পৌঁছে যায় পিটিআই নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় তাদের সংঘর্ষ হয়।
ইসলামাবাদের ডি চকে জমায়েত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পিটিআই নেতা-কর্মীরা। তাদের ঠেকাতে রাজধানীর সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া হয়। দুই মাসের জন্য রাজধানী শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে চুঙ্গি নম্বর ২৬ থেকে ডি চকের দিকে পিটিআইয়ের মিছিল যাওয়ার পর রেড জোনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা লক্ষ্য করা গেছে। রেঞ্জার্স সদস্যদের রেড জোনে মোতায়েন করা হয়েছে এবং গণমাধ্যমকর্মীদের স্পর্শকাতর এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ইসলামাবাদের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে এবং কিছু সদস্য গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোর ছাদে অবস্থান নিয়েছেন।