চট্টগ্রাম আদালত আইনজীবীদের কর্মবিরতি ও আন্দোলনে অচল

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে আজও উত্তাল চট্টগ্রামের আদালতপাড়া।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়।

এদিন দুপুর ১টার দিকে আইনজীবীদের একটি মিছিল আদালতপাড়ার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি তোলা হয়। একই সঙ্গে সংগঠনটির বিরুদ্ধে উগ্র কার্যকলাপে অভিযোগ তুলে নানান স্লোগান দেন আইনজীবীরা।

এর আগে, আইনজীবীদের সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঘটনার দিন পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সকাল থেকে নীরব ছিল। তাদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে ইসকনের অনুসারীরা আদালতে জড়ো হয়। একপর্যায়ে তারা আদালত পাড়ায় মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এর প্রতিবাদ জানালে আইনজীবীদের ওপর চড়াও হয় ইসকনের অনুসারীরা। একপর্যায়ে অ্যাডভোকেট সাইফুলকে নির্মমভাবে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারকে আল্টিমেটাম দিয়ে আইনজীবী নেতারা বলেন, ঘটনার পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এত বড় ঘটনা হত না। এটি পুলিশের ব্যর্থতা। দ্রুত আইনজীবী সাইফুলের খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে আপনি পদে থাকতে পারবেন না।

এর আগে, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ডাকে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। এদিন আদালতে কোনো প্রকার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কোনো আদালতে বিচারক এজলাসে বসেননি। এর আগে বুধবারও একই কর্মসূচি পালিত হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন-৬-এর কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। সম্প্রতি আলিফ চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর নিযুক্ত হয়েছিলেন। সাত ভাইবোনের মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ চতুর্থ।

Share this news on:

সর্বশেষ