অবশেষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৪ আয়োজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে হাইব্রিড মডেলে, যার মধ্যে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে ১০টি ম্যাচ, আর বাকি ম্যাচগুলো হবে দুবাইয়ে।
ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আপত্তির কারণে পাকিস্তানে কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না। ভারতের গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ এবং সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু হবে দুবাই। তবে, যদি ভারত গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে, সেক্ষেত্রে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ হবে পাকিস্তানের লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিতে।
যদিও পিসিবি এই পরিবর্তনগুলির জন্য কোনো আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না, তবে তারা ২০২৭ সালের পর নারী আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজনের স্বত্ব পেয়েছে। এটি পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যেহেতু দেশটি ভবিষ্যতে আরও আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, পাকিস্তানও তাদের শর্তে ভারতকে ছাড় দেয়নি। ২০২৬ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারত এবং শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে আয়োজন করবে, তবে পাকিস্তান ভারতের মাটিতে কোনো গ্রুপ ম্যাচ খেলবে না। সমস্ত ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কায়, এমনকি ভারতের বিপক্ষে তাদের হাইভোল্টেজ ম্যাচও কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হবে। তবে, পাকিস্তান বিশ্বকাপের নকআউটে উঠলে সেক্ষেত্রে ম্যাচের ভেন্যু সম্পর্কে সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি।
ভারতের সাংবাদিক বিক্রান্ত গুপ্তা, যিনি এই উন্নয়নগুলো মনিটর করছেন, বলেছেন, এটি ঠিক সেভাবেই হয়েছে, যেমনটি আমরা এক মাস ধরে প্রত্যাশা করছিলাম। পিসিবি, আইসিসি এবং বিসিসিআই সকলেই এই ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের পর প্রথমবার, যখন পাকিস্তান একটি বড় আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে। ২০০৯ সালে লাহোরে ক্রিকেটারদের ওপর হামলার পর পাকিস্তান দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পায়নি। তবে, গত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পূর্ণমাত্রায় ফিরলেও এবার পাকিস্তান প্রথমবারের মতো একটি বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে।