জুলাই-আগস্টে যেভাবে দুই হাজার তরুণ ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে, সেদিক থেকে বিবেচনা করলে চব্বিশের ১৪ ডিসেম্বর আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আখতার হোসেন বলেন, একাত্তরে যারা বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলতে পারতেন, বাংলাদেশকে গড়তে পারতেন, তেমন পেশাজীবী আইনজীবী শিক্ষক বুদ্ধিজীবীদের এই সময়টাতে হত্যা করা হয়েছিল। আপনারা দেখে থাকবেন, আমরা এমন একটা বছরে আছি, দুই হাজার তরুণ ছাত্র জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রত্যেকটা সময়ে প্রত্যেকটা হত্যাযজ্ঞ... সবগুলোই চালানো হয়, যারা প্রতিবাদী হয়ে ওঠে তাদের ওপর। সেই জায়গা থেকে ২৪-এর ১৪ ডিসেম্বর আমাদের কাছে আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, আমাদের একটা দীর্ঘ লড়াই আছে। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী অঙ্গনে অনেকেই আছেন, যারা গোটা পনেরোটা বছর ধরে এই ফ্যসিবাদের শাসনামলকে বৈধতা দিয়ে গেছে। আজকের বুদ্ধিজীবী দিবসে আমরা তাদেরকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির এ নেতা আরও বলেন, জুলাই এবং আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন, তারা যতদিন পর্যন্ত আমাদের হৃদয়ে থাকবেন, ততোদিন পর্যন্ত আমাদের এই ঐক্যকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না। যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন, সেই ষড়যন্ত্রকে বাংলাদেশের জনগণ প্রতিহত করবে।
বাংলাদেশের যত সংগ্রামের ইতিহাস, আওয়ামী লীগ তা কখনো ধারণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাত্র-জনতার ত্যাগের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছে। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান এগুলো আবারও ফিরিয়ে এনেছে। আগামী দিনে আমরা মনে করি, অভ্যুত্থানের তরুণ নেতৃত্বরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবে।