অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ইহুদি বসতি স্থাপন বাড়িয়ে দ্বিগুণ করতে চায় ইসরায়েল। এ–সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল। কারণ, ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কাছে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সীমান্তে একটি ‘নতুন ফ্রন্ট’ খোলা হয়েছে। গতকাল রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু এ কথা বলেন।
গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে সিরিয়া ছেড়ে পালিয়ে যান বাশার আল-আসাদ। এরপরই ইসরায়েলি বাহিনী গোলান মালভূমির নিরপেক্ষ অঞ্চলের (বাফার জোন) ভেতরে প্রবেশ করে। এই নিরপেক্ষ অঞ্চল সিরিয়া থেকে গোলান মালভূমিকে পৃথক করেছে।
গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলের ৩০টির বেশি বসতি রয়েছে। যেখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ওই বসতি অবৈধ। যদিও এ নিয়ে ইসরায়েলের আপত্তি আছে। তবে ওই অঞ্চল প্রায় ২০ হাজার সিরীয় বসবাস করে। তারা মূলত দ্রুজ আরব। ইসরায়েল যখন ওই অঞ্চলের দখল নেয়, তখন দ্রুজ আরবরা তাদের বসতি ছেড়ে যায়নি।
নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল ওই অঞ্চলের দখল রাখবে, সমৃদ্ধ করবে ও স্থিতিশীল রাখবে। তবে গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি বসতি বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন দেখছেন না দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট।