ক্ষমতা হারানো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ নগদ ২৫ কোটি ডলার মস্কোতে পাচার করেছেন বলে ফিন্যান্সশিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্য এসব অর্থ রাশিয়াতে পাচার করা হয়। যেখানে ১০০ ডলারের দুই টন মুদ্রা এবং ৫০০ ইউরো কারেন্সি ছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্যাংক নোটগুলো মস্কোর ভেনুকোভো বিমানবন্দরে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে এগুলো রাশিয়ার অনুমোদিত ব্যাংকগুলোতে জমা রাখা হয়। ওই সময়ে আসাদের আত্মীয়রা রাশিয়াতে সম্পদও ক্রয় করে।
ক্ষমতায় থাকার সময় পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়ায় এসব অর্থ পাঠায় আসাদ। গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর হামলার মুখে পালিয়ে যান বাশার আল-আসাদ। এর মধ্যে দিয়ে দেশটিতে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে চলা গৃহ যুদ্ধের অবসান হয়েছে। বর্তমানে তিনি এখন রাশিয়াতে রয়েছে।
ওই যুদ্ধে প্রায় ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে অর্ধেক সিরিয়ান। সিরিয়া থেকে সম্পত্তি লুট এবং যুদ্ধে অর্থায়নের জন্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দেশটির একাধিক বিরোধী দলের কাছে ব্যাপক সমালোচনার স্বীকার হন আসাদ।
নিয়ার ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্সের সাবেক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড শেঙ্কার ফিন্যান্সশিয়ার টাইমসকে বলেন, অর্থপাচার আশ্চর্যের কোনো বিষয় নয়। তিনি আরও বলেন, শাসকরা তাদের জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করার জন্য এ ধরনের অর্থ পাচার করে থাকে।
সিরিয়ান লিগ্যাল ডেভেলপমেন্ট পোগ্রামের সিরিয়ার গবেষক আয়াদ হামিদ বলেন, বছরের পর বছর ধরে রাশিয়া আসাদ সরকারের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করেছে। বিশেষ করে রুশ কোম্পানিগুলো যখন সিরিয়াতে ফসফেট সরবরাহ করে তখন সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়।