বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির ২০২৫-২৬ মেয়াদের নির্বাচন আগামী ২৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনকে ঘিরে এখন এফডিসিতে আসছেন অনেক পরিচালক। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বরাবরের মতো এবারও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) পরিচালক সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
নির্বাচনের দুদিন আগে হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ে, আগামী ২৮ ডিসেম্বর এফডিসিতে কোনো নির্বাচন করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে দুই প্যানেলের পক্ষ। সেখানে জানানো হয়, নির্বাচনে কোথাও থেকে কোনো বাঁধা আসেনি সুতরাং পূর্বনির্ধারিত তারিখেই হবে নির্বাচন।
নির্বাচনে একটি প্যানেলের সভাপতি ও মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শাহীন সুমন ও শাহীন কবির টুটুল। অপর প্যানেলে রয়েছেন মুশফিকুর রহমান গুলজার ও সাফি উদ্দিন সাফি।
জানা গেছে, সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পর এফডিসি কর্তৃপক্ষ থেকে নির্বাচনের প্রার্থীদের জানানো হয়, ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন করতে পারবে না তারা। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সকাল থেকেই এফডিসিতে জড়ো হতে থাকে পরিচালকরা। সকাল থেকেই এফডিসির ডিজির সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন তারা। একপর্যায়ে পরিচালকদের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে তথ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে তারা জানতে পারেন নির্বাচনের বিষয়ে কোথাও থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসেনি। পরবর্তীতে সন্ধ্যার পর শনিবার নির্বাচন ঘিরেই অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
একটি প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী শাহীন সুমন বলেন, ‘নির্বাচন সাধারণত দুই বছর পর পর হয়। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্মাতারা উৎসবমুখর পরিবেশে মিলিত হন। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। নির্বাচনের আগে আমাদের নিয়ে অমূলক বিভিন্ন কথা ছড়ানো হয়েছে যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। তবে নির্বাচন ঘিরে আজকে ছোট্ট একটা বৈরিতা তৈরি হয়েছিল। এফডিসির কর্মকর্তারা এফডিসিতে নির্বাচনে বাঁধা সৃষ্টি করেছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শনিবার নির্বাচন হবে।’
অপর প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘পরিচালক সমিতির নির্বাচনের মতো এফডিসিতে কোনো সংগঠনের নির্বাচন এতটা সৌহার্দ্যপূর্ণ হয় না। আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে আমরা দুই প্যানেলের প্রার্থীরা বসেছি। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা চাই নির্বাচনটা সুন্দরভাবে শেষ হোক।’
তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচনে কোনো বিধি-নিষেধ আছে কিনা-জানতে চাইলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারাহ শাম্মী বলেন, এ নিয়ে তথ্য উপদেষ্টার পক্ষ থেকে বার্তা আসবে। তারপর বলা যাবে হবে কি হবে না।
এফডিসিতে নির্বাচনের অনুমতি না মিললে কেপিআই ভুক্ত এলাকায় বাঁধা থাকবে কিনা তা নিয়ে তথ্য দিতে অনাগ্রহ জানান তিনি। একটি পক্ষ বলছেন, সংস্কারের আগে এফডিসিতে নির্বাচন নয়।
তবে পরিচালকরা বলছেন, এফডিসিতে নির্বাচন করতে বাঁধা এলে কেপিআই ভুক্ত এড়িয়ে নির্বাচন করবেন। কোনোভাবেই তারা নির্বাচন বন্ধ করবেন না।