জুলাই থেকে ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করানোর পর স্বাস্থ্যসেবায় ফিরছেন রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করা পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। বর্তমানে ৩০ হাজার টাকা চলমান রেখে এই সিদ্ধান্ত মেনেই চিকিৎসা সেবায় ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
আজ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে আন্দোলরত চিকিৎসকরা নিজ কর্মে ফিরে যান।
এর সরকার ঘোষিত ৩০ হাজার টাকা ভাতা প্রত্যাখ্যান করে রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বটতলায় সমাবেশ করে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা। এরপর পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে মহাসমাবেশ শুরু করেছেন। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার পরপর ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের (ডিএমজে) ব্যানারে এ সমাবেশ শুরু হয়। এতে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন মেডিকেলের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে বিএসএমএমইউ বটতলায় সমবেত হন চিকিৎসকরা। এ সময় ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুন্নবী বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করে আসছি। নেতৃস্থানীয় প্রত্যেক জায়গায় আমরা গিয়েছি। সমাধান না পেয়ে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। আপনারা কি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চিকিৎসকদের অবদান অস্বীকার করতে পারবেন? সে সময় রাস্তায় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি চিকিৎসকরা হাসপাতালেও রাত-দিন সেবা দিয়েছেন।’
বৈঠকের দিন শেষ উল্লেখ করে ডা. নুরুন্নবী আরও বলেন, ‘এখনই আমাদের সমঝোতার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এখন বৈঠকের দিন শেষ। যা বলার শাহবাগে বলতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন না আসবে, ততক্ষণ রাজপথ আছি। রাস্তায় যেহেতু নেমেছি, অধিকার আদায় করে রাস্তা ছাড়ব। দাবি পূরণে যত বিলম্ব হবে, আমরা ততো ঐক্যবদ্ধ হব, শক্তি সঞ্চয় করব। আমাদেরকে চাপ দিয়ে লাভ নেই। তা না করে কীভাবে তাড়াতাড়ি প্রজ্ঞাপন দেবেন, সেটা নিয়ে ভাবেন। আমরা কারও দালাল নই।’
এদিকে, চিকিৎসকদের সমাবেশে অংশ নিয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের আন্দোলনে সমর্থন জানান এবি পার্টির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াহাব মিনার। তিনি বলেন, ‘আগের আমলে আমরা ছিলাম রাজাকার, এখন হয়ে গেছি আওয়ামী লীগ। এগুলো তো আমরা বুঝি। তাদের দাবি মেনে নেন। চেয়ার পার্মানেন্ট না, পার্মানেন্ট হচ্ছে নৈতিকতা।’