তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরি বিষয়ে কি ভাবছে অন্তর্বর্তী সরকার?

তরুণদের কর্মসংস্থান অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানের সূত্রপাতই হয়েছিল চাকরি ও কর্মসংস্থান সম্পর্কিত দাবির মধ্য দিয়ে। এখন সরকার উদ্যোক্তা তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এসব কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে আগামী দুই দশক ধরে রাজনীতি ও সমাজে তরুণ প্রজন্মের প্রভাব স্থায়ী হবে। "তরুণ প্রজন্ম তাদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা ও কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্র, রাজনীতি ও সমাজে গভীর প্রভাব ফেলবে।"

গণঅভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ আরও বলেন, "অভিজ্ঞতার অভাব ও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও তরুণরা দেশের জন্য তাদের সম্ভাব্য সকল উপায়ে অবদান রাখতে চায়।"

২০২৪ সালের দীর্ঘস্থায়ী স্বৈরশাসনের পতনের পর বাংলাদেশেরে তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। নাহিদ বলেন, "তারা দায়িত্ব গ্রহণ করতে এবং ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে প্রস্তুত। তরুণদের প্রতি জনগণের আস্থা আরও সুদৃঢ় হবে।"

এছাড়া, সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থার অভাবে বিগত ১৬ বছরে জাতি সামাজিক অগ্রগতিতে পিছিয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, "তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে শিক্ষার মানোন্নয়ন অপরিহার্য।" সরকার তরুণদের রাজনৈতিক প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। নাহিদ বলেন, "আমরা তরুণদের এমন নেতৃত্বে পৌঁছে দিতে চাই, যেন তারা ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে পথ দেখাতে পারে।"

তরুণদের ভূমিকা নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। নাহিদ বলেন, "মানুষ আশা করছে বাংলাদেশি তরুণরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বৈষম্য দূরীকরণ এবং মানবিক মর্যাদা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।" গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের আবির্ভাব শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বৈশ্বিক পরিসরেও একটি মাইলফলক হয়ে উঠেছে। এটি পরিবর্তনের পথকে মসৃণ করার পাশাপাশি একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।

টিএ/

Share this news on: