কানাডার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ধন্যবাদ জানাতে এক অভিনব আয়োজন করেছে তার দল লিবারেল পার্টি। জাস্টিন ট্রুডোর একনিষ্ঠ সেবার জন্য তাকে ভার্চুয়ালি ‘থ্যাংক ইউ’ কার্ড উপহার দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
অনাস্থার মুখে গত ৭ জানুয়ারি পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। তবে তার দল লিবারেল পার্টি নতুন নেতা না পাওয়া পর্যন্ত তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবেন। একসময় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা ট্রুডোর বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখতে পুরো কানাডা থেকে ভার্চুয়াল থ্যাংক ইউ কার্ডে সই নেয়া হচ্ছে।
লিবারেল পার্টি জানিয়েছে, কার্ডে সই করা ব্যক্তি একই সঙ্গে তার মতামতও যুক্ত করতে পারবেন। সারা দেশের মানুষের মন্তব্য এবং স্বাক্ষর সম্বলিত কার্ডটি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর হাতে তুলে দেয়া হবে স্যুভেনিয়র হিসেবে।
২০১৩ সালে নাকাল লিবারেল পার্টির হাল ধরেন জাস্টিন ট্রুডো। সে সময় হাউস অব কমেন্সে তৃতীয় অবস্থানে নেমে আসে লিবারেল পার্টি। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন জাস্টিন ট্রুডো। তার আত্মত্যাগ ও একনিষ্ঠ চেষ্টায় ২০১৫ সালে সাধারণ নির্বাচনে জয় পায় লিবারেল পার্টি। প্রধানমন্ত্রী হন জাস্টিন ট্রুডো।
এরপর আর পেছনে তাকাননি এই জনপ্রিয় নেতা। প্রথম মেয়াদে ফের শীর্ষে নিয়ে আসেন দেশের অর্থনীতিকে। তবে বিপত্তি বাঁধে দ্বিতীয় মেয়াদে। নির্বাচনে জয় পেলেও পার্লামেন্টে লিবারেল পার্টি হারায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা। নিউ ডেমোক্র্যাট পার্টির সঙ্গে গঠন করেন জোট সরকার।
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, আবাস ক্রয়, অত্যধিক কর জেঁকে বসে জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের ওপর। শত চেষ্টায়ও জাতীয় সংকটগুলো কাটিয়ে উঠতে ব্যর্থ হন তিনি। কূটনৈতিক দ্বন্দে জড়ান ভারতের সঙ্গে। তার ওপর অনাস্থার শেষ পেরেক ঠুকে দেন ঐতিহাসিক মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
কানাডার রাজনীতিতেও দীর্ঘদিন ধরে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। কেবল বিরোধীরাই নয়, তার পদত্যাগের দাবি তোলেন দলীয় সদস্যরাও। অবশেষে দলীয় এমপিদের বিদ্রোহের মুখে গত ৭ জানুয়ারি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন জাস্টিন ট্রুডো। পদত্যাগের ভাষণে তিনি জানান, চলতি বছরের অক্টোবরেই কানাডার ফেডারেল সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের জনমত জরিপে এগিয়ে আছে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টি।
টিএ/