দীর্ঘদিন পর বাফুফে ভবনে উপস্থিত সালাউদ্দিন। সভাপতির দায়িত্ব ছাড়ার পর বাফুফেতে এটিই তার প্রথম সফর। ফেডারেশন সভাপতি তাবিথ আওয়াল নিজের চেয়ার ছেড়ে বসতে বললেন সালাউদ্দিনকে। তাবিথকে এ নিয়ে ধন্যবাদ জানালেও সভাপতির চেয়ারে বসেননি তিনি। সব মিলিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টার মত ফেডারেশনে অবস্থান করেছেন বাফুফের সাবেক এই সভাপতি।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্যান্য দফতরের মতো ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। যার মধ্যে অন্যতম বাফুফে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর বাফুফের সভাপতির চেয়ারে বসেছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। তবে গত অক্টোবরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। নির্বাচিত হন তাবিথ আওয়াল।
বুধবার হঠাৎ দুপুরে বাফুফে ভবনে এসেছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। তার এমন আকস্মিক আগমনে ফুটবলাঙ্গনে দেখা দেয় কৌতূহল। তবে, উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বাফুফেকে নিজের বাসা হিসেবেই আখ্যায়িত করলেন সালাউদ্দিন। বলেন, এটা বাংলাদেশ ফুটবলের হোম, এমনিই আসলাম। বাংলাদেশ সাফের কিছু টুর্নামেন্ট হোস্টিং করতে চায়। এটা নিয়ে কিছু কাজ ছিল।
বাফুফের সভাপতি পদে না থাকলেও এখনও সাফের সভাপতি পদে আছেন দেশের কিংবদন্তী এই ফুটবলার। প্রথমবারের মতো এবার হোম অর অ্যাওয়ে ভিত্তিতে টুর্নামেন্ট করতে চায় সাফ। এটা বাস্তবিক অর্থে কঠিন, কিন্তু আয়োজিত হলে বাংলাদেশ ও ভারতই বেশি লাভবান হবে বলে মনে করেন সালাউদ্দিন।
বাফুফে নির্বাচনের পর নতুন কমিটি তিন মাস কেমন পরিচালনা করেছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাউদ্দিন বলেন, আসলে আমি সেভাবে ফলো করি না, গণমাধ্যমও দেখা হয় না। আশা করি ভালোই হওয়ার কথা। যারা আছে, তারা ফুটবল ও খেলার সঙ্গেই ছিল। সফর শেষে হাস্যজ্জল মুখেই বাফুফে ভবন ত্যাগ করেন ফেডারেশনের সাবেক এই সভাপতি।
টিএ/
