টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাপারে তথ্য নিতে গোপনে বাংলাদেশে এসেছিলেন ব্রিটেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে ঢাকায় গোপন বৈঠক করেন তারা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশি কর্মকর্তারা জানান, ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন বৈঠকটির আয়োজন করে।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গত মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি - এনসিএ কর্মকর্তাদের জানানো হয়, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে নতুন প্রমাণ সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ এনসিএ কর্মকর্তারা টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ই-মেইল রেকর্ড এবং অন্যান্য তথ্য খতিয়ে দেখতে পারেন, এমনকি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করার সম্ভাবনাও রয়েছে।
যে সকল ব্রিটিশ নাগরিকদের বিরুদ্ধে বিদেশি অর্থ ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাদের যুক্তরাজ্যের ঘুষ আইন ২০১০ অনুযায়ী অভিযুক্ত হবেন এবং শাস্তি হিসাবে দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। এনসিএ-র কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়।
অভিযোগ রয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মাধ্যমে টিউলিপ ও তার পরিবারের সদস্যরা ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন। এ প্রকল্পের ৯০ শতাংশ ঋণ এসেছে ক্রেমলিন থেকে, আর দায়িত্বে আছে রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটম।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে ব্রিটেনের লেবার পার্টির জুনিয়র মিনিস্টার এবং শেখ হাসিনার ভাগ্নী টিউলিপ সিদ্দিক গত মাসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর তার এমপি পদে থাকা নিয়েও বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জোর আপত্তি।
টিএ/