বিএনপি থেকে নির্বাচিতদের শপথ নেয়ার শেষ দিন

সংবিধান অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপির বাকি পাঁচ সদস্যের শপথ নেয়ার শেষ দিন সোমবার। যদি এই সময়ের মধ্যে তারা শপথ না নেন, তবে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সংবিধানের পঞ্চম ভাগের প্রথম পরিচ্ছেদের ৬৭(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে এ বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। শপথ না নিলে আসন শূন্য ঘোষণা করবেন, নাকি আরও সময় দেবেন- তা নির্ধারণের এখতিয়ারও স্পিকারের। সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীই এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। তবে তিনি মনে করেন, ‘বিএনপির বাকি সদস্যরাও শপথ নেবেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আশাকরি তারা (বিএনপির সদস্যরা) শপথ নেবেন। আমরা শেষমুহূর্ত পর্যন্ত তাদের জন্য অপেক্ষায় থাকব।’

বিএনপি থেকে নির্বাচিত একজনের শপথের পর বাকিরাও সংসদে যোগ দিতে পারেন বলে জোর গুঞ্জন চলছে। এ নিয়ে দলের ভেতরে ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আটটি আসনে জয়লাভ করে। এর মধ্যে ছয়জন বিএনপির; বাকি দু’জন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামের। নির্বাচনের পরপরই ভোটে ব্যাপক অনিয়ম এবং কারচুপির অভিযোগ তুলে তা প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানানোর পাশাপাশি তারা শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে এ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদ ৭ মার্চ শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেন। তাকে অনুসরণ করে গণফোরামের প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত দলটির আরেক নেতা মোকাব্বির খান ২ এপ্রিল শপথ নেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান শপথ নেন।

তবে শপথ না নেয়ার বিষয়ে এখনও অনড় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ নেব না। দলগতভাবেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: