লোড শেডিং দুর্ভোগ ঠেকাতে পারবে তো সরকার!

গেল বছর ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারহে হিমশিম খেয়েছিলো পতিত আওয়ামীলীগ সরকার। সেখানে এ বছর গ্রীষ্মে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার সম্ভাব্য প্রক্ষেপণ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এদিকে সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা যায় এবার গরমে তিন হাজার মেগাওয়াটের বেশি ঘাটতি থাকবে বিদ্যুতের। যদিও বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, লোডশেডিং হবে দেড় হাজার মেগাওয়াট। মূলত জ্বালানি সমস্যার কারণেই বিদ্যুতের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। তাই আসছে গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া বিদ্যুতের বকেয়া বিলের পরিমাণ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে খুব বেশি কমেনি। বিল না পাওয়ায় বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা প্রাথমিক জ্বালানি ফার্নেস অয়েল ও কয়লা আমদানিতে হোঁচট খাচ্ছে। অর্থ সংকটে রয়েছে গ্যাস খাতও। বকেয়া ও ডলার সংকটে এলএনজি আমদানি ব্যাহত হতে পারে। দেশীয় উৎস থেকেও গ্যাসের জোগান কমছে। ফলে এবার গরমে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

গত গরম মৌসুমে গ্রামে ভয়াবহ লোডশেডিং হলেও শহরবাসী বেশি সুবিধা ভোগ করতো। নগরে খুব বেশি লোডশেডিং দেয়া হতো না। কিন্তু এবার তেমনটি হবে না। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা এ বিষয়ে বলেছেন, এবার গরমে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হতে পারে। শহর ও গ্রামে সমান হারে এই লোডশেডিং বণ্টন করে দেয়া হবে। বৈষম্য করা হবে না।

বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের প্রকৃত উৎপাদন সক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াটের মতো। এর মধ্যে ৫৮টি গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা উৎপাদনের ৪৪ শতাংশ তথা ১২ হাজার মেগাওয়াট। সাতটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা ২৬ শতাংশ তথা ৭ হাজার মেগাওয়াট সরবরাহ করে। ফার্নেস অয়েল থেকে পাওয়া যাবে সাড়ে ৫ হাজার মেগাওয়াট। ভারত থেকে আমদানি করা হয় ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট। এ ছাড়া সৌর-জলবায়ু থেকে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে।

Share this news on: