ন্যাটোর সদস্যপদের বিনিময়ে পদত্যাগ করবেন জেলেনস্কি!

ন্যাটোর সদস্য পদ পেলে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে রাজি ভলোদিমির জেলেনস্কি। এমনকি তাকে স্বৈরাচার আখ্যা দেয়া ট্রাম্পেরও সাক্ষাৎ চান তিনি। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তেও তিনি রাজি আছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হলে তার চেয়ে বেশি আর কেউ খুশি হবে না জানিন্যে জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনারা যদি আমাকে এই চেয়ার থেকে সরে যেতে বলেন, আমি তা করতে প্রস্তুত রয়েছি।’

ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থেই ইউরোপীয় সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদ প্রয়োজন জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘ন্যাটোয় ইউক্রেনের সদস্যপদের বিনিময়েও আমি প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে পারি।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাকে স্বৈরাচার আখ্যা দেয়ার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘তার ওই মন্তব্যে আমি বিরক্ত হয়নি। তবে আমার জায়গায় কোনো স্বৈরাচারী শাসক থাকলে বিরক্ত হতেন। এটিই প্রমাণ করে আমি স্বৈরশাসক নই।’

২০১৯ সালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হন ভলোদিমির জেলেনস্কি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনে সামরিক শাসন জারি করা হয়। বাতিল করা হয় নির্বাচন। জেলেনস্কি বলেন, বর্তমানে তিনি ইউক্রেনের নিরাপত্তার দিকে নজর দিচ্ছেন। এক দশক ধরে প্রেসিডেন্ট থাকা তার ‘স্বপ্ন’ নয়।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই ঐতিহাসিক মিত্র হিসেবে পরিচিত ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন থামাতে বিভিন্ন তৎপরতা শুরু করেছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি সৌদি আরবে রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তার প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। তবে ওই আলোচনায় ইউক্রেনকে যুক্ত করা হয়নি।

এতে বেশ ক্ষিপ্ত হন জেলেনস্কি। তিনি জানান, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোনো শান্তি চুক্তি মেনে নেবে না কিয়েভ। এরপরই প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে নিয়ে বিভিন্ন আক্রমণাত্মক কথা বলেন ট্রাম্প। ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের দিকে নজর দিলেও প্রথমে তার সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন জেলেনস্কি। অবশ্য পরে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে খনিজ সম্পদ দিতেও রাজি হন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট।

জেলেনস্কি জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, তিনি ট্রাম্পকে দেখতে চান ইউক্রেনের একজন অংশীদার হিসেবে। কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে একজন মধ্যস্থতাকারীর চেয়েও বড় ভূমিকা রাখবেন ট্রাম্প- এমন প্রত্যাশা জেলেনস্কির।

Share this news on:

সর্বশেষ