ম্যাচের আগে জরিমানার খবর পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেস, কিন্তু মাঠে এসে দুজনই নিজেদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান।
কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় লেগে স্পোর্টিং ক্যানসাস সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ইন্টার মায়ামি। মায়ামির মাঠে বুধবার বাংলাদেশ সময় সকালে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। পরে গোল করেন তাদেও আইয়েন্দে ও সুয়ারেস। ক্যানসাস সিটির একমাত্র গোলটি করেন মেমো রদ্রিগেস।
দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ ষোলোয় পা রাখল মায়ামি। প্রথম লেগে প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে আলোচিত ম্যাচে মেসির একমাত্র গোলে জিতেছিল দলটি।
ওই ম্যাচের পর গত শনিবার মেজর লিগ সকারে নিউ ইয়র্ক সিটি এফসির বিপক্ষে ম্যাচের মাঝবিরতিতে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের ঘাড় ধরেন সুয়ারেস। ম্যাচ শেষে নিউ ইয়র্কের কোচিং স্টাফের এক সদস্যের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তার ঘাড় ধরে বসেন মেসি। মঙ্গলবার অপ্রকাশিত অঙ্কের জরিমানা করা হয় মায়ামির দুই তারকাকেই।
এই ম্যাচের শুরুতে সুযোগ বেশি তৈরি করে ক্যানসাস। প্রথমার্ধে গোলে ছয়টি শট নেয় তারা, এর তিনটি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু আসল কাজটি করতে পারেনি দলটি। উল্টো প্রথমার্ধেই তিন গোল করে বসে মায়ামি।
১৯তম মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়া সুয়ারেস আলতো করে বল উড়িয়ে দেন বক্সের আরেক প্রান্তে ফাঁকায় তাকা মেসিকে। আর্জেন্টাইন জাদুকর বল বুক দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে জড়িয়ে দেন জালে।
দ্বিতীয় গোলেও অবদান আছে মেসির। ৪৫ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে তিনিই দারুণভাবে বাঁ প্রান্তে বল বাড়ান জর্দি আলবার দিকে। আলবা বিপজ্জনকভাবে বক্সে ঢুকে ক্যানসাসের তিন জনক ফাঁকি দিয়ে পাস দেন আইয়েন্দেকে। তার কাজ ছিল স্রেফ পায়ের টোকায় বল জালে পাঠানো।
যোগ করা সময়েই আরও একটি গোলের দেখা পায় মায়ামি। ক্যানসাসের জ্যাক ডেভিসের ভুল পাস থেকে বক্সের ভেতর উঁচু বল পান সুয়ারেস। সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে শুয়ে পড়ে দারুণ ভলিতে বল জড়িয়ে দেন তিনি জালে।
ক্যানসাস একটি গোল ফিরিয়ে দেন ৬৩তম মিনিটে। তবে ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি।
শেষ ষোলোয় মেসিদের প্রতিপক্ষ জ্যামাইকার ক্লাব ক্যাভালিয়ার। প্রথম লেগ মায়ামির মাঠে ৬ মার্চ।