২৮ ফেব্রুয়ারির পর জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি সিভিল-পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে থেকে যাবে। আর কোনো দল গঠনের উদ্যোগ নেবে না। এমনটা জানিয়েছে দলটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো কিছু তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় সদস্যদের উপস্থিতিতে ১১তম সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর মাধ্যমে আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখপাত্র, মুখ্য সংগঠক ব্যতীত জাতীয় নাগরিক কমিটির অবশিষ্ট অর্গানোগ্রাম, নির্বাহী কমিটি, সেলসমূহ ও সার্চ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
আসন্ন রাজনৈতিক দলে যোগদানকারী সব কেন্দ্রীয় সদস্যের সদস্যপদ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি দল ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত বহাল থাকবে। রাজনৈতিক দলে অন্তর্ভুক্তির সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সদস্যের পদ বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। দলে যোগ দিচ্ছেন না এমন সদস্যদের পদ বহাল থাকবে।
এছাড়া আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখপাত্র, মুখ্য সংগঠক আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী ১৫ দিন অনানুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের উদ্যোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির তিন জনের আনুষ্ঠানিক ফোরাম পরবর্তী অর্গানোগ্রাম নির্ধারণ করবেন।
সাধারণ সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন দল আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক কমিটির রাজনৈতিক দল গঠনের ঐতিহাসিক দায়িত্ব শেষ হবে। দল গঠনের পর থেকে নাগরিক কমিটি সিভিল-পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে থেকে যাবে।