প্যারিসে সামরিকপ্রধানদের বৈঠক

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রদানে অবদান রাখতে ইচ্ছুক ৩০টি ইউরোপীয় ও ন্যাটো সদস্য দেশের সামরিকপ্রধানরা মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্যারিসে বৈঠক করবেন। ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রান্সআটলান্টিক জোটকে বাতিল করে মস্কোর সঙ্গে যখন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছেন, ঠিক তখনই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে আক্রমণ করার তিন বছরেরও বেশি সময় পর ইউরোপ এর প্রতিরক্ষা জোরদার করতে ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা থেকে মুক্তি পেতে হিমশিম খাচ্ছে।

এদিকে ট্রাম্প তার রুশ প্রতিপক্ষ ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ করেছেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সমালোচনা করেছেন। ফলে কিয়েভ ও ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার পক্ষে একটি সমঝোতা গ্রহণে ইউক্রেনকে বাধ্য করার চেষ্টা করতে পারেন। ট্রাম্প কিয়েভের সঙ্গে সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য বণ্টনও স্থগিত করেছেন।
প্যারিসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ভাষণ দেবেন।তিনি বলেছেন, ন্যাটো সামরিক কমান্ডের সঙ্গে কঠোর সমন্বয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ম্যাখোঁ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইউক্রেনে একটি চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য তথাকথিত ’ইচ্ছুকদের জোট’ গঠনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে ইউরোপের পাঁচটি প্রধান সামরিক শক্তি—ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, ইতালি ও পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা বুধবার ফ্রান্সের রাজধানীতে বৈঠক করবেন। ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর একজন সহযোগী জানিয়েছেন, এই আলোচনা ইউরোপের প্রয়োজনীয় পুনর্গঠন ও ইউক্রেনের প্রতি সামরিক সহায়তার ওপর কেন্দ্রীভূত হবে।

তার অফিস আরো জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে সহায়তা করতে ইচ্ছুক দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে আগামী শনিবার ভার্চুয়াল আলোচনার আয়োজন করবেন স্টারমার।
এর আগে গত সপ্তাহে ম্যাখোঁ বলেছিলেন, ইউক্রেনে যেকোনো ইউরোপীয় সেনা কেবল তখনই মোতায়েন করা হবে যখন শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরো বলেন, তিনি ইউরোপীয় অংশীদারদের কাছে ফ্রান্সের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছেন।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পর ন্যাটোর দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনী ও কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী অঞ্চল নিয়ে তুরস্ক ইউরোপের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চাইছে। কারণ ওয়াশিংটন এই অঞ্চল থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
জেলেনস্কির বিমান ও নৌ যুদ্ধবিরতির আহ্বানের প্রতি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান তার সমর্থন জানিয়েছেন।

আরএ/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাজধানীতে উপাধ্যক্ষ হত্যা, গ্রেফতার দম্পতির দায় স্বীকার Mar 12, 2025
img
বৃহস্পতিবার সারাদেশে ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে এনআইডি সেবা Mar 12, 2025
img
আইসিসি মানে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ড:অ্যান্ডি রবার্টস Mar 12, 2025
img
রিসিভার নয়, নিজস্ব তত্ত্বাবধানে চলবে বেক্সিমকো গ্রুপ : হাইকোর্ট Mar 12, 2025
img
কোম্পানি রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়লো ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত Mar 12, 2025
img
হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেলেন শমী কায়সার Mar 12, 2025
img
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য চিকিৎসা সেবা উন্মুক্ত করলো চীন Mar 12, 2025
img
সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা কনফারেন্স হবে বাংলাদেশে: প্রেস সচিব Mar 12, 2025
img
মাগুরার শিশুটির অবস্থার আরো অবনতি : প্রেসসচিব Mar 12, 2025
img
শেখ হাসিনা-ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা Mar 12, 2025