ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, খোলা স্থানে সব নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। যদি কেউ হিজাব না পরে, তবে তাকে গ্রেপ্তারসহ নানা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সম্প্রতি জানা গেছে, ইরানের রাজধানী তেহরান এবং দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন ব্যবহার করে নারীদের হিজাব পরা না থাকার ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। এসব ড্রোন হিজাববিহীন নারীদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করছে।
নারীদের হিজাব পরতে বাধ্য করতে ড্রোনের পাশাপাশি ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম ও একটি অ্যাপও ব্যবহার করা হচ্ছে দেশটিতে। গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
অ্যাপটির নাম হলো ‘নাজের’। এটি মোবাইলে ব্যবহার করা যায়। যদি কোনো নারী হিজাব না পরেন এবং তাকে কেউ দেখেন, তাহলে এই অ্যাপটির মাধ্যমে তার বিস্তারিত তথ্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে পাঠানো যায়। সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশ যে কেউই এই অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে পারেন।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপটির মাধ্যমে হিজাব না পরা নারীর গাড়ির লাইসেন্স প্লেট, অবস্থান, এবং ওই নারী কোন সময়টায় হিজাব না পরে ছিলেন তার সব জানানো যায়। এরপর অ্যাপটি তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশকে সতর্ক করে দেয়।
এছাড়া লাইসেন্স প্লেটের তথ্য সংগ্রহ করে ওই গাড়ির মালিককে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। এতে সতর্কতা দিয়ে বলা হয়, আপনার গাড়িতে হিজাব আইন লঙ্ঘন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদি আপনি সতর্কতা উপেক্ষা করেন তাহলে গাড়ি জব্দ করা হবে।
অ্যাপটির পরিধি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বাড়ানো হয়। এটি ইরানের পুলিশের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। এটি মূলত অ্যাম্বুলেন্স, ট্যাক্সি এবং গণপরিবহনে থাকা নারীদের টার্গেট করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
এমআর