১৬ মার্চ রাত পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন ছিল। মিশিগান, মিসৌরি এবং ইলিনয়সহ ৭টি রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি একইসঙ্গে আরকানসাস, ইলিনয়, মিসিসিপি এবং মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের কিছু অঞ্চলে শক্তিশালী বজ্রপাত হয়েছে।
এর আগে ১৪ মার্চের রাত ও ১৫ মার্চের সন্ধ্যা পর্যন্ত একই দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৪০টি টর্নেডো আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির মধ্যাঞ্চলজুড়ে ভয়ংকর টর্নেডো এবং শক্তিশালী ঝড়ের আঘাতে কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন।
টর্নেডোর আঘাতে মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া কানসাসে ধূলিঝড়ের কারণে ৫৫টিরও বেশি যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে কমপক্ষে আটজন মারা গেছেন। জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের বরাতে এসব ঘটনার তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ।
টর্নেডো ও ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মিসৌরির স্থানীয়রা ‘অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতির’ কথা জানিয়েছেন। মিসৌরি ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যে বজ্রপাত এবং তীব্র বাতাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাই সেখানে নতুন করে টর্নেডো আঘাত হানতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ব্রায়ান কেম্প জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি স্থানীয়দের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলা যায়। সিবিএস নিউজ বলেছে, দেশটির টেক্সাস ও ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যেও ধ্বংসাত্মক ঝড় আঘাত হেনেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, অল্প সময়ে অসংখ্য টর্নেডো তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যার মধ্যে কিছু দীর্ঘমেয়াদি এবং সম্ভাব্য হিংসাত্মক হতে পারে। ভৌগোলিক এবং আবহাওয়াগত অবস্থার কারণে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার রাজ্য টেক্সাস, ওকলাহোমা এবং কানসাসে সবচেয়ে বেশি তীব্র ঝড় দেখা যায়। ২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডো-সংশ্লিষ্ট ঝড়ে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এসএম/টিএ