সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’র আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে। ছবিতে দীর্ঘ দিন পরে জুটিতে ফিরছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত-ইশা সাহা।
প্রসঙ্গত, ‘তরুলতার ভূত’ ছবিতে প্রথম তাঁরা জুটি বেঁধেছিলেন। প্রথম ছবি থেকেই তাঁদের নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন। সেই সময় শোনা গিয়েছিল, সেটের মধ্যেই নাকি নায়িকার জন্মদিন পালন করেছিলেন ইন্দ্রনীল। তার কিছু দিনের মধ্যেই বরখা বিস্তের সঙ্গে দাম্পত্যে ইতি টানেন অভিনেতা। ফলে, চর্চা আরও জোরালো হয়।
যদিও সেই সময় একাধিকবার এ রটনাকে ভুয়া বলে দাবি করেছিলেন ইন্দ্রনীল ও ইশা। এর পর থেকে আর তাদের পর্দা শেয়ার করতে দেখা যায়নি। কিন্তু তাদের নিয়ে চর্চা থামেনি। সৃজিত আবার তাদের ফেরাচ্ছেন পর্দায়।
চর্চা কি নতুন করে জন্ম নেবে?— প্রযোজক রানা সরকার তার আগামী সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর ইশার কাছে জানতে চেয়েছিল একটি গণমাধ্যম। নায়িকার টান টান জবাব—গুঞ্জন বাড়বে না, কমবে। বিষয়টি নিয়ে আর মাথা ঘামাই না। কারণ আমি কিছু করলেও লোকে বলবে, না করলেও।
কিন্তু নায়ক যদি পর্দায় প্রথম জুটি বেঁধেই কেক কেটে নায়িকার জন্মদিন পালন করেন কিংবা শুটিংয়ের ফাঁকে একান্তে সময় কাটান, তা হলে তো নিন্দুকেরা বলবেনই। এ কথা জানাতেই চটজলদি উত্তর দিলেন ইশা— এটিও খুবই বাজে রটনা। ইন্দ্রনীলদা কেক আনেননি। শুটিংয়ের সময় কারও জন্মদিন এলে ইউনিট থেকে কেক আনানো হয়। সবাই মিলে উদযাপনে যোগ দেন। তা ছাড়া ‘তরুলতার ভূত’-এর আগে তিনি অভিনেতাকে চিনতেনও না। ফলে আলাদা করে সময় কাটানোর প্রশ্নই আসে না।
ইন্দ্রনীল ও ইশা আর অচেনা নন। এবার তারা দ্বিতীয় সিনেমাতে কাজ করবেন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে তাদের। এবার কি অবসরে একসঙ্গে আড্ডা দেবেন?—এমন প্রশ্ন শুনে হেসে ফেললেন নায়িকা। তিনি বলেন, মানুষ আমাদের শুটিং দেখতে পান না। ফলে বুঝতেও পারেন না, আমরা কতটা পরিশ্রম করি। একটা চরিত্র ফোটানো কতটা চাপের। ভাবেন, আমরা বোধহয় হই হই করে দিন কাটাই। নায়কদের সঙ্গে প্রেম করি। একান্তে সময় কাটাই। দিনের শেষে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরি। বিশ্বাস করুন, সেটে আমাদের দম ফেলার সময় থাকে না। একান্তে সময় কাটানো অনেক দূরের কথা।
খানিক থেমে ইশা আরও বলেন, সবাইকে বলছি— সেটে কেন, সেটের বাইরেও আমরা একান্তে সময় কাটাব না।
এসএম