কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি দেশটির ফেডারেল সংসদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী ২৮ এপ্রিল অথবা ৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়। এতে বলা হয়, মার্ক কার্নি সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারেন।
মার্ক কার্নি বলেছেন, 'তিনি গভর্নর জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বলতে পারবেন কখন নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কানাডার অর্থনীতিকে একটি শক্তিশালী রূপ দিতে এবং পার্শ্ববর্তী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঠিক রাখতে এই মুহূর্তে একটি শক্তিশালী সরকার দরকার। সেই কারণেই নির্বাচনের বিকল্প নেই।' কানাডার নির্বাচনের আইন অনুসারে, ফেডারেল নির্বাচনের আগে প্রচারণার জন্য কমপক্ষে ৩৬ দিন সময় দেওয়ার বিধান রয়েছে।
মাল্টিকালচারালিজমের দেশ কানাডায় বিগত কয়েক বছরে প্রচুর সংখ্যক নতুন অভিবাসী আসায় দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নড়বড় হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি, বাড়ি ভাড়াসহ জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি, কানাডার সরকারের পদক্ষেপে একের পর এক ক্রমাগত নতুন অভিবাসীর আগমনের ফলে ট্রুডো সরকার সমালোচনার সম্মুখীন হয়।
কানাডার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, লিবারেল পার্টির নেতা হতে হবে এমন একজনকে যাঁর অর্থনীতির উপরে দক্ষতা রয়েছে এবং সাধারণ মানুষের মনের ভাষা বোঝে। তাহলেই কানাডার অর্থনীতি আবার সচল হবে। কানাডা তার আগের অবস্থানে ফিরে আসবে এমন নেতা নির্বাচন জরুরি।
এমআর/টিএ