পাঁচ বছর তদন্তের পর বলিউডের প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। রিপোর্টে সুশান্তের সাবেক প্রেমিকা ও অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর উপর থেকে যাবতীয় চার্জশিট তুলে নেওয়া হয়।
অভিনেতার মৃত্যুর পর দুজনকেই নানারকম আইনি সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে নাকি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী, অভিনেতার মৃত্যুর পর এমনই দাবি করেন তার অনুরাগীরা।রিয়াকে দিনের পর দিন জেলেও কাটাতে হয়েছে।
এদিকে রিয়া চক্রবর্তী ক্লিন চিট পাওয়ার পর রিয়ার জন্য ন্যায় বিচারের দাবি করেছেন বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। সেই সময় নায়িকাকে নিয়ে নানা সংবাদ মাধ্যম নানা নেতিবাচক খবর করেছিল, দিয়া তাদের বলেছেন রিয়ার কাছে লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইতে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি স্টোরি শেয়ার করে এমনটা দাবি করেন দিয়া।
সিবিআইয়ের ক্লোজার রিপোর্টের পর দিয়া মির্জা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন, “সংবাদ মাধ্যম থেকে কি রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের কাছে লিখিত ভাবে কোনও ক্ষমা চাওয়া হয়েছে? আপনারা ছেলেরাও ওর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, যেন ‘ডাইনি’ শিকার চলছিল। শুধু টিআরপির জন্য তাঁদের উপর অনেক অত্যাচার করা হয়েছে। তাদের কাছে ক্ষমা চান। এটুকু অন্তত আপনারা করতে পারেন।
সিবিআইয়ের ক্লোজার রিপোর্টের পর রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবীও সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মাধ্যমে যে সব মিথ্যা খবর ছড়ানো হয়েছিল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। করোনার কারণে সবাই টিভি ও সংবাদ মাধ্যমেই আটকে ছিলেন। বড় ধরনের কোনও ঘটনা না ঘটলে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা হয় এবং গণমাধ্যম ও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে তাদের হেনস্থা হতে হয়। এই গোটা ঘটনায় রিয়া ও তাঁর পরিবারের সাহসের প্রশংসা করতেই হবে।
২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। পরিবার এবং অভিনেতার ভক্তরা এই মৃত্যুর জন্য রিয়া চক্রবর্তীকে দায়ী করেছিলেন। এক্ষেত্রে মাদকের দিকটিও প্রকাশ্যে এসেছিল। গত পাঁচ বছর ধরে সুশান্ত সিং কাণ্ডের তদন্ত চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি সিবিআই তাদের ক্লোজার রিপোর্ট দেওয়ার সময় জানায়, অভিনেতার মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা।
এমআর/টিএ