পদবঞ্চিতদের অবস্থান : পদত্যাগের ঘোষণা ছাত্রলীগ সম্পাদকের

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া বিক্ষুব্ধ অংশের সদস্যরা এবার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। ফের হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে শনিবার গভীররাত থেকে বৃষ্টিতে ভিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়েছে তারা। তাদের বোঝাতে এসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে বলেন, তিনি পদত্যাগ করবেন।

জানা গেছে, পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর জটিলতা নিরসনে টিএসসিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সম্পাদকের সঙ্গে শনিবার রাত বারোটার দিকে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। পরে বৈঠক বিলম্বিত হয়ে রাত আড়াইটার দিকে শুরু হয়।

ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু বলেন, বৈঠকে প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নতুন কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক লিপি আক্তার দাবি করেন যে, সতের জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের বহিস্কার এবং আরও চল্লিশ জনের অভিযোগের ডকুমেন্ট রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। এসময় রাব্বানী ক্ষিপ্ত হয়ে লিপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “তুই আমার নামেও মিডিয়াতে মাদকের অভিযোগ করেছিস। তুই নিজেও একটা ভাইরাস।” এর জের ধরে সেখানে উপস্থিত গোলাম রাব্বানীর সমর্থকরা লিপিসহ পদবঞ্চিত কয়েকজনকে মারধর করেন।

পদবঞ্চিতদের দাবি অনুযায়ী, মারধরের শিকার হয়েছেন নতুন কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক নিপু ইসলাম তন্বী, তিলোত্তমা শিকদার, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদা পারভীন ও সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা, শামসুন নাহার হল শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা, সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপসম্পাদক এমদাদ হোসেন সোহাগ, সাবেক কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক আজমীর শেখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহসহ কয়েকজন।

পদবঞ্চিতরা মারধরের অভিযোগ তুলে রাত তিনটা থেকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেয়। এসময় পদবঞ্চিতদের বুঝিয়ে অবস্থান কর্মসূচি থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। তবে পদবঞ্চিতরা তাকেও গ্রহণ করেননি। এসময় গোলাম রাব্বানী পদবঞ্চিতদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি সরি। তোমরা চলে যাও। আমি কাল নেত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আসব।’

পদবঞ্চিতদের একজন তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ক্যাম্পাসে যাদের আমরা নিজের হাতে করে রাজনীতি শিখিয়েছি। আজ তারা আমাদের উপর হামলা করে। এটার চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে!

মারধরের ব্যাপারে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ‘আমি আজ কিছু বলব না। যা বলার কাল (রোববার) বলব।’

তবে গোলাম রাব্বানী বলেন, কাউকে মারধর করা হয়নি। কথা বলতে গিয়ে ‘হট টক’ হয়েছিল।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: