যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে শুল্ক ইস্যুর সমাধান করা হবে : প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আশা প্রকাশ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যুর ইতিবাচক সমাধান সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। যেহেতু এটি আলোচনার বিষয়, তাই আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করব এবং আমি নিশ্চিত যে, আমরা সর্বোত্তম সমাধানে পৌঁছাতে পারব।’

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ব্যাঙ্ককে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্য আমদানির ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এখনো পুরো বিষয়টি আলোচনা শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এটা পর্যালোচনা করছি এবং আমরা যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছি, তাতে আশাবাদী সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। আমরা এমন একটা সমাধানের দিকে যেতে পারব, যাতে উভয় পক্ষের জন্য উইন উইন সিচুয়েশন হয়।’

প্রেসসচিব দৃঢ় আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা এমন কিছু করব, যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ হয়।’ এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে বলে জানান তিনি।

এর আগে আজ সকালে শফিকুল আলম বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার বাড়ানোর বিষয়ে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক পর্যালোচনা করছে। এসব শুল্ক আরো যুক্তিসংগত করার উপায় খুঁজে বের করতে দ্রুত ও কার্যকরভাবে কাজ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যা শুল্কবিষয়ক জটিলতা নিরসনে প্রয়োজন।

প্রেসসচিব আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আমাদের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য।

ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করে আসছি।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের চলমান কার্যক্রম শুল্ক সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।’
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ‘রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ নীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে আমদানীকৃত পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরএ/টিএ



Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভূমিকম্পের মেইন শক এখনো আসেনি! Nov 22, 2025
img
ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স Nov 22, 2025
img
জাপার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে: নাহিদ ইসলাম Nov 22, 2025
img
জামায়াতের বিজয় চাই না, জনগণের বিজয় চাই : আমির Nov 22, 2025
img
ফ্যাসিবাদ অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা ইতিহাস গড়েছে : শিক্ষা উপদেষ্টা Nov 22, 2025
img
অ্যাশেজে ১২৭ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিলেন ট্রাভিস হেড Nov 22, 2025
img
সতর্ক না হলে বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে : রাজউক চেয়ারম্যান Nov 22, 2025
img
জি-২০ সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের ৪টি প্রস্তাব নরেন্দ্র মোদির Nov 22, 2025
img
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে নারী শিশুসহ আটক ১৩ Nov 22, 2025
img
খালেদা জিয়ার আপসহীনতার কারণেই দেশে বারবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে : জুয়েল Nov 22, 2025
img
নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে : রুমিন ফারহানা Nov 22, 2025
img
ভূমিকম্প আমাদের অহংকার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে আসে : আজহারী Nov 22, 2025
img
গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধানের শীষের বিকল্প নেই : দুলু Nov 22, 2025
img
দেশি উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন টেলিকম নীতি প্রণয়নের আহ্বান Nov 22, 2025
img
বিগত দিনের মতো যদি কেউ কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে, তবে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে : জামায়াত আমির Nov 22, 2025
img
বিএনপিতে হোন্ডা-গুন্ডার রাজনীতি থাকবে না: এ্যানি Nov 22, 2025
img
ভূমিকম্প নিয়ে ১০টি বিস্ময়কর তথ্য Nov 22, 2025
শান্তি প্রস্তাব মানতে ইউক্রেনকে সময় বেধে দিলো ট্রাম্প Nov 22, 2025
গণভোটের ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ মানুষ বুঝতে পারছে না : মির্জা ফখরুল Nov 22, 2025
“শিবির সম্পর্কে ভুল ধারণা ভাঙল অনুষ্ঠানে এসে ” Nov 22, 2025