বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় দেখা গেছে, কেউ হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা, কেউবা ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখা পোস্টার ও ব্যানার বহন করছেন।
এছাড়া, ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে শোভাযাত্রায় তৈরি করা হয়েছে একটি বৃহৎ তরমুজের ফালির মোটিফ।
আয়োজকরা জানান, তরমুজ ফিলিস্তিনিদের কাছে প্রতিরোধ ও অধ্যবসায়ের প্রতীক। ফলটির বাইরের সবুজ ও ভেতরের লাল, সাদা, কালো রঙ ফিলিস্তিনের পতাকার রঙের সঙ্গে মিলে যায়-এ কারণে এটি তাদের সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। তাই এবারের শোভাযাত্রায় অন্যান্য মোটিফের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তাদের প্রতীক হিসেবে তরমুজের মোটিফ রাখা হয়েছে।
‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত শোভাযাত্রাটি সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়, টিএসসি, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর ঘুরে পুনরায় চারুকলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
শোভাযাত্রায় ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি এবং ৭টি ছোট মোটিফসহ মোট ২১টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়। এবারের শোভাযাত্রার মূল মোটিফ ছিল ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’। এর পাশাপাশি দেখা গেছে পায়রা, মাছ, বাঘ ও আলোচিত ‘মুগ্ধর পানির বোতল’-এর প্রতীকী উপস্থাপনাও।\\
এসএন