প্রশ্নফাঁসে জড়িত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারীর কারাদণ্ড

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী মো. শহিদুল ইসলাম। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি।

শুক্রবার তাকে হাতেনাতে আটকের পর এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই সময় শহিদুলের সঙ্গে থাকা একটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভ্রা দাস।

আদালত জানায়, তার জব্দকৃত মুঠোফোন যাচাই করে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় শহিদুলের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রশ্ন ফাঁসের বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেয়ার কথা বলে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে তিনি অনেক টাকা নিয়েছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে শহিদুলকে আটক করা হয় এবং পরে তার মুঠোফোন জব্দ করে সত্যতা পাওয়া যায়।

প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চক্রান্তে জড়িত শহিদুল। এমন অসংখ্য প্রমাণ তার (শহিদুল) মুঠোফোনে রয়েছে। এমনকি টাকা লেনদেনেরও প্রমাণ রয়েছে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে- জানান বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ।

আদালতের নির্দেশে শহিদুলকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: