ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের নাম তামান্না আক্তার (১৫)। তামান্না একই গ্রামের নোয়াব মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি ছাত্রীর ছিল।
এ ঘটনার অভিযুক্ত ব্যক্তির নাঈম ইসলাম (২৭)। সে একই গ্রামের বসু মিয়ার ছেলে। নাঈম জেলা শহরের সড়ক বাজারে নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করেন। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক।
নিহতের বড় বোন স্মৃতি আক্তারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তামান্না সোমবার তার বড় বোন স্মৃতি আক্তারের বাড়িতে বেড়াতে আসে। এদিকে বুধবার রাতে অভিযুক্ত নাঈম কাজে যাননি। তিনি রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমের জুস নিয়ে এসে তার মেয়ে জান্নাতকে খাওয়ালে সে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর শালিকা তামান্নাকেও জুস খেতে বললে তামান্না জুস না খাওয়ায় বড় বোন স্মৃতি সেই জুস খান। আর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
এদিকে সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর স্মৃতি সরকার তামান্নাকে ঘুম থেকে জাগাতে যান। কিন্তু তামান্নার কাছে গিয়ে দেখেন তার শরীর রক্তাক্ত। এ ঘটনা গ্রামের এক সর্দারকে জানলে তিনি বাড়িতে আসেন। এসময় নাঈম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের বোন স্মৃতি আক্তার অভিযোগ করেছেন, তার স্বামী নাঈম ধর্ষণের পর তামান্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
টাইমস/এইচইউ