উপদেষ্টা পরিষদেই আছে আ.লীগের সুবিধাভোগীরা: রাশেদ খান

অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন জায়গায় ১/১১ এর দোসররা বসে আছে। উপদেষ্টা পরিষদেরই আওয়ামী সুবিধাভোগীরা রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন রাশেদ খান। সেই সঙ্গে জানান, কেন তিনি শুরু থেকেই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে সরকারের সমালোচনা করছেন।

ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খান লিখেছেন, ‘স্রোতের বিপরীতে গিয়ে আমি কেন শুরু থেকেই এই সরকারের সমালোচনা করেছি। কারণ এই সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টাকে আমি ২০১৮ সাল থেকে চিনি। এই সরকারের বিভিন্ন জায়গায় ১/১১ এর দোসররা বসে আছে। উপদেষ্টা পরিষদেরই আওয়ামী সুবিধাভোগীরা। এই উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন রিফাইন্ড আওয়ামীলীগ গঠনের সঙ্গে জড়িত। এই সরকারের দুজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা মিলে তিন জন ডামি এমপি জামিন করানোর তথ্য আমার কাছে এসেছে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘একজন ছাত্র উপদেষ্টা একজন ডামি এমপিকে পুনর্বাসন করেছে। কোন কোন উপদেষ্টার মনোভাব এমন যে, প্রশাসন ও সরকারের দপ্তর ও সেক্টর থেকে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের সরিয়ে দিলে সব তো বিএনপি-জামায়াত ঢুকে পড়বে। আমরা তো আওয়ামীলীগকে ভয় দেখিয়ে কাজ করাতে পারবো। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত তো আমাদের কথা শুনবে না। এভাবে তারা পুরো আওয়ামী সেটআপ রেখে দিয়েছে।’

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে রাশেদ খান আরও লিখেছেন, ‘যেকারণে আওয়ামী পুলিশ আওয়ামী লীগকে গ্রেফতার করে না। গ্রেফতার হলেও আওয়ামী বিচারক বা জাজের মাধ্যমে জামিন পেয়ে যায় তারা। এই সরকার ৯ মাসে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তো যায়-ই নি,বরং সর্বত্র আ.লীগ পুনর্বাসন করেছে। আজকে শেষরাতে সরকারের সবুজ সংকেত পেয়ে পুত্র-শ্যালকসহ ডামি রাষ্ট্রপতি, হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।’

রাশেদ খান আরও বলেন, ‘ইতোপূর্বে ওবায়দুল কাদেরসহ যারা পালিয়েছে, তারাও সরকারের সবুজ সংকেত পেয়েই পালিয়েছে। এই সরকারকে আপনারা আরও ৫ বছর সময় দেন, যাতে তারা আ.লীগকে পুরোপুরি ব্যাক করাতে পারে! আজকে লিখে রাখেন, এদের আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারে কোন মুরোদ নাই, বরং এরা বিদেশিদের চাপে আ.লীগকে নির্বাচনে নেওয়ারও পায়তারা করবে। এরা সংস্কারের মুলা ঝুলিয়ে জাতিকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে, মূলত এরা গণঅভ্যুত্থানের চেতনার বিপরীতে অবস্থান করছে।’

এফপি/এস এন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু Jul 01, 2025
img
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা Jul 01, 2025
img
আগামী ৫ দিন টানা বৃষ্টির আভাস Jul 01, 2025
img
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করল পাকিস্তান Jul 01, 2025
img
সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় মব হয়েছে : মোশাররফ আহমেদ Jul 01, 2025
img
বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৩ হাজার, হাসপাতালে ২১৭ জন ভর্তি Jul 01, 2025
img
শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে মুক্তির স্বাদ দিয়েছে, জুলাই ক্যালেন্ডার উদ্বোধনে প্রধান উপদেষ্টা Jul 01, 2025
বিসিবি ছাড়ছেন সামি, জানালেন কারণ Jul 01, 2025
img
আসিফ মাহমুদের বিচার করা উচিত : নিলুফার মনি Jul 01, 2025
img
দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত Jul 01, 2025
img
ঢাকায় এবার বাংলাদেশ-নেপাল দ্বিপক্ষীয় এফওসি বৈঠক Jul 01, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ আমরা আদায় করে ছাড়ব: নাহিদ ইসলাম Jul 01, 2025
img
আসন্ন বিপিএল শুরু হচ্ছে কবে, জানাল বিসিবি Jul 01, 2025
img
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ Jul 01, 2025
img
১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষের ২০৩০ সালের মধ্যে অকাল মৃত্যু ঘটতে পারে Jul 01, 2025
img
ঐক্যের কোনো লক্ষণ নেই, বিভাজন আরো বাড়ছে : জিল্লুর রহমান Jul 01, 2025
img
জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা Jul 01, 2025
তাহাজ্জুদ পড়লে কি জ্বিনে ধরে? | ইসলামিক জ্ঞান Jul 01, 2025
img
ম্যানসিটিকে হারিয়ে শেষ আটে নেইমারের সাবেক ক্লাব আল হিলাল Jul 01, 2025
img
শত্রু রাষ্ট্রকে সহযোগিতায় মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস করল ইরান Jul 01, 2025