যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে হত্যা

মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম জানিয়েছেন ওয়াশিংটন ডিসির একটি ইহুদি জাদুঘরের বাইরে দুই ইসরায়েলি দূতাবাস কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিবিসির সংবাদ অংশীদার সিবিএসকে সূত্র জানিয়েছে, ক্যাপিটাল ইহুদি জাদুঘরের একটি অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে আসার সময় এই ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী।

স্থানীয় সময় রাত ৯টা ০৫ মিনিটে এফ স্ট্রিটস এনডব্লিউ-এর কাছাকাছি এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।

ওই এলাকায় অসংখ্য পর্যটন স্থান, জাদুঘর এবং সরকারি ভবন রয়েছে, যার মধ্যে এফবিআইয়ের ওয়াশিংটন ফিল্ড অফিসও রয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গুলি চালানোর সময় ইসরায়েলি দূতাবাসের একাধিক কর্মচারী একটি জাদুঘরের অনুষ্ঠানে ছিলেন।

নোয়াম এক্স-এ পোস্ট করে বলেছেন, ‘আমরা সক্রিয়ভাবে তদন্ত করছি এবং তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কাজ করছি। দয়া করে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করুন। আমরা এই বিকৃত অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনব।’

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত এই ঘটনাকে ‘ইহুদি-বিরোধী সন্ত্রাসবাদের একটি জঘন্য কাজ’ বলে অভিহিত করেছেন। রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন এক্স-এ লিখেছেন, ‘কূটনীতিক এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে একটি লাল রেখা অতিক্রম করা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত যে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ এই অপরাধমূলক কাজের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

এই ঘটনার পর পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে এবং শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিহতদের একজন পুরুষ ও একজন নারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে, তবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

হামলাকারীর খোঁজ চলছে। বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস সূত্র জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি নীল জিন্স এবং নীল জ্যাকেট পরা একজন পুরুষ।

ক্রমবর্ধমান ইহুদি-বিদ্বেষের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অনেক ইহুদি প্রতিষ্ঠানের মতো ক্যাপিটাল ইহুদি জাদুঘরও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে।

নির্বাহী পরিচালক বিট্রিস গুরউইটজ বুধবার হামলার আগে একটি পৃথক সংবাদ প্রতিবেদনে বলেন, ‘শহরজুড়ে, সারা দেশে ইহুদি প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’

এসএম/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শৈত্যপ্রবাহ না আসা পর্যন্ত নভেম্বরজুড়েই চলবে ‘এই শীত, এই গরম’ Nov 20, 2025
img
দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় Nov 20, 2025
img
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ ৪ Nov 20, 2025
img
বাবা আমার সঙ্গেই আছে: নিষাদ হুমায়ূন Nov 20, 2025
img
হোয়াইট হাউসে ডিনারের পর ট্রাম্পকে ‘ধন্যবাদ’ দিলেন রোনালদো Nov 20, 2025
img
মাধুরীর নতুন লুক, গয়না খুলে কয়েদির পোশাকে মাধুরী! Nov 20, 2025
img
পিছিয়ে গেল বিপিএলের নিলাম Nov 20, 2025
img
মালিতে সেনা অভিযানে প্রাণ গেল ৩১ জনের Nov 20, 2025
img
দিল্লিতে দোভাল ও খলিলুরের বৈঠক; আলোচনার বিষয় কী? Nov 20, 2025
img
লামায় ট্রাক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল চালক Nov 20, 2025
img
মালদ্বীপের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য সিট বরাদ্দ Nov 20, 2025
img
তার সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো লেগেছে : বিজয় বর্মা Nov 20, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান ৫ম Nov 20, 2025
img
মিলিতাওকে ঘিরে দুঃসংবাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ Nov 20, 2025
img
মামদানির সঙ্গে সাক্ষাতের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প Nov 20, 2025
img
কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের কাতারে মুশফিক Nov 20, 2025
img
চাকরি থেকে বরখাস্ত তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট Nov 20, 2025
img
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল Nov 20, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনে ইসির শক্ত ভূমিকা চায় রাজনৈতিক দলগুলো Nov 20, 2025
img
পাঁচটি জরুরি বিষয় অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করতে চায় বিএনপি : তারেক রহমান Nov 20, 2025