সিনহার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ মামলার অনুমোদন

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফারমার্স ব্যাংকের ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে বুধবার এই মামলার অনুমোদন দেয়া হয়।

বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সংস্থাটি। মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম শামীমসহ ৬ কর্মকর্তাও আসামি হয়েছেন। আসামি হয়েছেন এস কে সিনহার কথিত পিএস রঞ্জিত ও তার স্ত্রী।

এর আগে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে চার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করিয়ে ‘রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির’ নামে হস্তান্তর দেখিয়ে আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান করছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এত দিন সেই ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির’ নাম প্রকাশ না করলেও বুধবার মামলা করার মাধ্যমে সেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) নাম প্রকাশ করল দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, গত বছরের জানুয়ারিতে এ অনুসন্ধান শুরু হয়। ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে দুদকের। পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন ও সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের সমন্বয়ে গঠিত একটি দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে তারা কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেন। আজই কমিশন মামলার অনুমোদন দিলে সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীম, ব্যাংকটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ, গুলশান শাখার ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট লুৎফুল হক, এস কে সিনহার কথিত পিএস রণজিৎ চন্দ্র সাহা, রঞ্জিতের স্ত্রী সান্ত্রী রায় (সিমি), টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ নিয়ে একই দিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন। পরে ওই টাকা ব্যক্তিগত হিসাব থেকে অস্বাভাবিক নগদে এবং চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য হিসাবে হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। পাশাপাশি ওই টাকার উৎস ও অবস্থান গোপনের মাধ্যমে পাচার বা পাচারের চেষ্টায় সম্পৃক্ত ছিলেন।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ