জামারায় পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে শেষ হয়েছে চলতি বছরের হজের প্রধান কার্যক্রম। মিনায় পাথর নিক্ষেপ ও তাওয়াফের মাধ্যমে শেষ করেন হজের প্রধান কাজ। এ বছর হজের সময় মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় তাপামাত্রা ছিল ৪২ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এটিই ছিল গ্রীষ্মকালীন শেষ হজ।
এরপর আগামী ২৫ বছর গ্রীষ্ম মৌসুমে হজ অনুষ্ঠিত হবে না।
রবিবার (৮ জুন) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের (এনসিএম) মুখপাত্র হুসেইন আল-কাহতানি।
তিনি বলেন, এই বছরের হজ গ্রীষ্ম মৌসুমের সমাপ্তি চিহ্নিত করে।
তিনি আরো বলেন, আগামী ৮ বছর হজ মৌসুম বসন্তকালে অনুষ্ঠিত হবে।
তারপর শীতকালে ৮টি, এরপর শরৎকালে এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রায় ২৫ বছর পর গ্রীষ্মে পুনরায় হজ ফিরে আসবে।
এনসিএম মুখপাত্র জানান, চন্দ্র ক্যালেন্ডার চক্রের কারণে এই পরিবর্তনটি হয়ে থাকে। আগামী বছরগুলোতে হাজিরা মাঝারি আবহাওয়ায় হজ পালন করতে পারবে।
মূলত ইসলামী বর্ষপঞ্জির চন্দ্রভিত্তিক গণনার অনুসরণ করে।
প্রতিবছর সৌর বর্ষপঞ্জির সঙ্গে এর ১০ দিনের ব্যবধান হয়। অর্থাৎ প্রতিবছর ইসলামী বর্ষপঞ্জি প্রায় ১০ দিন পিছিয়ে যায়। ফলে হজ মৌসুম প্রতি ৩৩ বছর পর পর গ্রীষ্ম, বসন্ত, শীত ও শরৎকালের মধ্যে ঘুরে ঘুরে আসে।
গত ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর থেকে বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করেছেন ৮৭ হাজার ১৫৭ জন।
আগামীকাল বুধবার (১০ জুন) থেকে হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে এবং হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট ১০ জুলাই শেষ হবে।
কেএন/টিকে