জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক ও সাংবাদিক জিল্লুর রহমান বলেছেন, গত ৫ আগস্টের সময় ড. ইউনূস প্যারিসে ছিলেন। মাত্র তিনদিন পর দেশে ফিরে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশের সামনে আসছে একটি অসাধারণ সুযোগ। কিন্তু আজ ১০ মাস পর সেই সম্ভাবনার আলো যেন ক্রমেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে। একটি ঐতিহাসিক সুযোগ, যা গণমানুষের আন্দোলনে রচিত- তা কি হারিয়ে যাচ্ছে ড. ইউনূসের শাসনেই?
সোমবার (৯ জুন) রাতে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এসব কথা বলেন তিনি।
জিল্লুর রহমান বলেন, প্রথমদিকে মানুষ মনে করেছিল, অভাবনীয় এ দুঃসময়ে হাল ধরতে এসেছেন। দেশের ভাগ্য নির্ধারণে তিনি হবেন নিরপেক্ষ অভিভাবক, যিনি কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই একটি ভাঙাচোরা রাষ্ট্র ব্যবস্থার পুনর্গঠন ঘটাবেন। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে, ততই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে ড. ইউনূসের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে , তার ‘সংস্কার আগে নির্বাচন পরে’ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এখন প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, একদিকে যখন দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো দাবি করছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে, অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টা সেই সময়সীমা নিয়ে এক রকম অনীহা প্রকাশ করছেন। কখনো বলছেন ডিসেম্বর। কখনো বলছেন, জুন পর্যন্ত সময় লাগবে। এত আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেই নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও।
এ সাংবাদিক বলেন, ভোটের দাবি এখন শুধু রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, জনগণের একটি বড় অংশ এই অনিশ্চয়তার মধ্যে নিজেদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত মনে করছে। ড. ইউনূসের প্রতি সবচেয়ে বড় অভিযোগ, তিনি নির্দিষ্ট একটি দল বা গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাত দেখাচ্ছেন। তার উপদেষ্টা পরিষদে এখনও আছেন, সেই সব তরুণ নেতারা, যারা গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং পরে এনসিপি নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন।
আরআর/টিএ